নগরীতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মশাল মিছিল


নিজস্ব প্রতিবেদক :
“মানবাধিকারের সংগ্রাম চলছেই, চলবে” এই শিরোনামকে সামনে রেখে বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সরকারের ইশতেহারে দেওয়া সাত দফা সরকারের চার বছর পার হওয়ার পরেও অদ্যবধি কোন দফা মেনে নেওয়া হয় নি।

সেই সাত দফা বাস্তবায়নের দাবীতে সারাদেশের ন্যায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় নগরীর ধর্মসভা থেকে এক মশাল মিছিল বের হয়। মশাল মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে আলুপট্টিতে এসে শেষ হয়। মশাল মিছিল শেষে সেখানে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজকুমার সরকার এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক রণজিৎ কুমার সাহা, বিপ্লব সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জ্বল কুমার ঘোষ, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাড. শরৎ চন্দ্র সরকার, যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মৃদুল কুমার সাহা, দপ্তর সম্পাদক ডা: অঙ্কুর স্যান্যাল, ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিপন্ন কুমার সরকার, ২৮ (পশ্চিম) নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনন্দ কুমার ঘোষ।

পথসভায় শ্যামল কুমার ঘোষ বলেন, সরকারের দেওয়া সাত দফা অবিলম্বে বাস্তবায়ন ও মঠ-মন্দিরে হামলা ও ভাংচুরের আসল দোষীদের খুঁজে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য ১৯৭২ সালের মৌল সংবিধানে ফিরে যাওয়া ব্যতিত কোন বিকল্প নেই।

তিনি আরো বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য উদ্বাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য অবিলম্বে সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয় গঠন করতে হবে। সেই সাথে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ও নীপিড়ন বন্ধে আইন করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, রাজশাহী মহানগর ও এর অন্তর্গত চন্দ্রিমা থানার সভাপতি কমল সরকার, মতিহার থানার সভাপতি অসীত কুমার ঘোষ, রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক কাজল দাস, কাটাখালী থানার সভাপতি অরবিন্দ সরকার সহ তন্ময় দাস, কিরন রায়, সুরজিত বাগচী মানা, রবি পাল, জিবেন সরকার, স্বপন পাল, বরুনা শীল, আলো সাহা, ছন্দা দাস, দিপীকা রায় দিনা, বেবী রানী, রবি দাস সহ নেতৃবৃন্দ।