নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) এক কর্মচারীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।শুভ তার স্ত্রী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্নী চিকিৎসক সালমা খাতুনের (২৩) সাথে রাজশাহী মহানগরীর আম চত্বর উমরপুর এলাকায় ভাড়া করা বাসায় থাকতেন।তার ভাড়া বাসা থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাস্টার রোলের কম্পিউটার অপারেটর (ফার্মাসিস্ট) শুভ হোসেনের (২৪) লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের আমিনুল হকের ছেলে।
গত ১৪ ডিসেম্বর সোমবার বিকালে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে শুভর লাশ।
এঘটনায় রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।তবে বাবা আমিনুল ইসলাম দাবি করেন, তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, শুভর বাবা এসে দরজা ভেঙ্গে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে মৃত্যুর কারণ।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার স্ত্রী সালমার সাথে মনমালিন্যের ঘটনা ঘটে। এরই সূত্র ধরে স্ত্রীর সালমা তার বাবার বাড়িতে চলে যান।স্ত্রীর সালমা বাবার বাড়িতে যান শুভর বন্ধু মেহেদীর সঙ্গে।সলামাকে তার বাবার বাড়ি তানোরে রাখতে গিয়ে বন্ধু মেহেদী হাসান বলেন, শুভ আত্মহত্যা করতে পারে। এ খবর পেয়ে শুভর বাবা রাতেই শুভর খোঁজ নিতে নগরীতে আসেন। এরপর এসে দেখেন তার ছেলের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। পরে দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করা হয়।এ নিয়ে রসহ্যের জন্ম দিয়েছি।
তার কক্ষ থেকে সিগারেটসহ একটি সিরিঞ্জ উদ্ধার করা হয়। শেষে সোমাবর লাশ ময়নাতন্দ করে দাফন করা হয়।
এদিকে জানা গেছে, শুভর সাথে মেহেদী পোল্ট্রি ফার্মের ব্যাবসা শুরু করেছিলো। ওই ব্যবসার সম্পূর্ণ টাকা শুভর ছিলো। এটা শুভ তার অন্য বন্ধুদেরও জানিয়েছিলো। এখন মেহেদী দাবি করছেন, শুভর সব টাকা তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন।ব্যাবসায়ও শুভর আর কোনো ভাগ নেই। মেহেদীর এসব আচরণে মূলত ব্যাপক রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
স/আর