নগরীতে পুকুরে ডুবে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যূ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নগরীতে পুকুরে ডুবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের(রাবি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যূ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের পুকুরে ডুবে মারা যায় সে। পরে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা এসে তার লাশ উদ্ধার করে।

 

ওই শিক্ষার্থীর নাম হোসেন মোহাম্মদ ফাহিম। সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

 

জানা যায়, ফাহিমের  বাবা ফরিদুল হক সিলেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহকারী অধ্যাপক।  সেই সুবাদে ফাহিম রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের হোস্টেলে থেকে পড়া-লেখা করতেন। তাঁদের বাড়ি জামালপুর জেলায়।
ফাহিমের বাবা রাজশাহীতেও কর্মরত ছিলেন। তিনি বর্তমানে দুই মাসের প্রশিক্ষণে নিউজিল্যান্ডে আছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে কোনো সিট হওয়ায় টিচার্স ট্রেনিং কলেজের মধ্যে হোস্টেলে থাকতেন ফাহিম। আগামী ২৪ মার্চ তার বাবার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

 

জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সিট না পাওয়ায় নগরীর টিটিসি কলেজের নতুন হোস্টেলের নিচতালায় ১০৯ নম্বর রুমে থাকতে দেয়া হয় ফাহিমকে তার সঙ্গে দুই বন্ধুও থাকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হোস্টেলের বড় পুকুরে গোnল করতে যান ফাহিম। কিছুক্ষণ পর তার সহপাঠীরা পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখেন ফাহিম মাঝ পুকুরে থাকা অবস্থায় ধীরে ধীরে পানিতে ডু্বে যাচ্ছেন। পরে স্থানীয়রা এসে পানিতে নেমে ফাহিমের কাছে যেতে যেতে তলিয়ে যায় ফাহিম।

 

অত:পর পানিতে ডুব দিয়ে উদ্ধার করার চেষ্টাও করেন তারা। কিন্তু পানির অনেক নিচে থাকায় তাকে উদ্ধার করতে পারেনি সহপাঠীরা।

 

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দফতরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ওমর ফারুকের নেতৃত্বে লিডার (ডুবুরী) নুরুন্নবী ও ডুবুরী আব্দুর রাজ্জাক তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩২নম্বর ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। বর্তমানে তার লাশ রামেক হাসপাতালে রাখা আছে।

 

স/শ