নগরীতে চোরাই মোটরসাইকেলসহ দুইজন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকার একটি বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নগরীর চন্দ্রিমা থানা পুলিশ েঅভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল উদ্ধার ও তাদের গ্রেফতার করে। এসময় তাদেরর কাছ থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন মো: ফয়সাল ইসলাম শান্ত (২৩) ও মো: মিল্টন (২২)। শান্ত রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার সূর্যপাড়ার মো: সাজেদুর রহমানের ছেলে ও মিল্টন রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোটবনগ্রাম স্কুল মোড়ের মো: পিন্টুর ছেলে।

জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকার মো: ছাগির মাহমুদ রিহান গত ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ রাত ১১ টায় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল গ্যারেজে রাখেন। পরের দিন সকাল ১১ টায় গ্যারেজে গিয়ে দেখেন তার মোটরসাইকেলটি নাই। রিহান এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নগরীর বোয়ালিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতি: ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বিভূতি ভূষন বানার্জীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: হাফিজুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় চন্দ্রিমা থানা পুলিশের একটি টিম চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ আসামি গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে।

পরবর্তীতে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাহবুব আলম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: সিদ্দিকুর রহমান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো: সাহাব উদ্দীন-আল-ফারুকের সমন্বয়ে একটি চৌকস অভিযানিক টিম আসামিদের শনাক্ত করে। গতকাল ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ রাত ৩ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত টিম অভিযান পরিচালনা করে রাজশাহী জেলার বাগমারা থানা এলাকা থেকে আসামি শান্তকে গ্রেফতার করেন। তার দেওয়া তথ্যমতে একই থানার মোহনপুর মধ্যপাড়া থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামি শান্তর দেওয়া তথ্যমতে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত) রাত সাড়ে ১২ টায় অপর আসামি মিল্টনকে চন্দ্রিমা থানার ছোটবনগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয় জানায়, তারা মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সদস্য। রাজশাহী মহানগরসহ আশেপাশের এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে তাদের সহযোগীদের সহযোগিতায় বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে থাকে। অন্যান্য সহযোগী আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।