নগরীতে চোরাই গরু উদ্ধার, দুই চোর গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার ডাঁশমারী মধ্যপাড়া এলাকা থেকে  চোরাই দুইটি গরুসহ দুই চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহায়তায় কাটাখালী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে চোরাই গরু উদ্ধার ও দুইজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, মো: মনিরুল (৩২) ও খাদেমুল ইসলাম পালা (৪২)। মনিরুল রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার ডাঁশমারীর মো: মাসুদ রানার ছেলে ও খাদেমুল ইসলাম পালা একই এলাকার মৃত মুক্তারের ছেলে।

নগর পুলিশ জানায়, গত ১৪ ডিসেম্বর  রাত ১০ টায় রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালী থানার হরিয়ান মৃধপাড়ার মিনজারুল ইসলাম একটি ষাঁড় ও একটি বকনা গরুকে খাবার খাইয়ে তার গোয়াল ঘরে বেঁধে রাখে। পরে দিন ১৫ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ৫ টায় ঘুম থেকে উঠে দেখে যে, তাঁর বাড়ির মেইন গেট ভাঙ্গা এবং গোয়াল ঘরে  ষাঁড় ও বকানা গরু দুইটি নাই। পরবর্তীতে তিনিসহ তাঁর পরিবারের লোকজন আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় গরু দুইটি খোঁজাখুঁজি করেন। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে কাটাখালী থানায় এজাহার দায়ের করলে একটি চুরির মামলা রুজু হয়।

মামলা রুজু পরবর্তীতে উপ-পুলিশ কমিশনার (মতিহার) মধুসুদন রায়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: একরামুল হক, পিপিএম-এর দিকনির্দেশনায় সহকারী পুলিশ কমিশনার মো: আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে কাটাখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: তৌহিদুর রহমান, এসআই সুমন কুমার সাহা ও তাঁর টিম চোরাই গরু উদ্ধারসহ আসামি গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেন।

পরবর্তীতে কাটাখালী থানা পুলিশের ওই দল  ডিবি পুলিশের সহায়তায় শুক্রবার দিবাগত রাত  রাত ২ টায় নগরীর মতিহার থানার ডাঁশমারী সাতবাড়ীয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মনিরুল ইসলামকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামি মনিরুল ইসলামের দেওয়া তথ্যমতে অপর আসামি খাদেমুল ইসলাম পালাকে তার বাড়ি থেকে চোরাই দুইটি গরুসহ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র আইন ও মাদকদ্রব্য আইনসহ অন্যান্য আইনে ৮ টি মামলা রয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনের নাম প্রকাশ করে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।