নওয়াজ শরীফ কি পাকিস্তানে ফিরবেন?

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সর্বোচ্চ নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দেশে ফেরা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। পাকিস্তানের রাজনীতিতে নওয়াজ আবারও প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন এই গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।

অনাস্থা ভোটে ইমরান খানের বিদায়ের পর ক্ষমতার নাটাই এখন পাকিস্তান মুসলিম লিগের হাতে। নওয়াজের ভাই শাহবাজ শরিফ দেশটির প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এটি মোটামুটি নিশ্চিত। আজই পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে বিষয়টি ফয়সালা হয়ে যাবে। শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হলেও নওয়াজের নির্দেশেই দেশ চালাবেন এমন কথা বলাবলি হচ্ছে সব জায়গায়।

পিএমএল-এন নেতা মিয়া জাভেদ লতিফ রোববার জানান, ঈদুল ফিতরের পর লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তবে সম্ভাব্য জোট সরকারের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই তিনি দেশে ফিরবেন। দেশটির নতুন সরকারের মেয়াদ ছয় মাসের বেশি হবে না। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও ইকোনমিক টাইমসের।

তবে নওয়াজ শরিফের মুখপাত্র মুহাম্মদ জুবায়ের পিএমএল-এনের সর্বোচ্চ নেতার দেশে ফেরা নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি স্পর্শকাতর বিষয়। এ পর্যায়ে এ নিয়ে কোনো কিছু বলা যাবে না।’

এই প্রথম সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের দেশে ফেরা নিয়ে কথা হচ্ছে, বিষয়টি তেমন নয়। এর আগেও জাভেদ লতিফসহ অনেক পিএমএল-এন নেতা একই ধরনের দাবি করেছেন। ইমরান খান সরকার উৎখাতের পর নওয়াজের দেশে ফেরা নিয়ে গুঞ্জন আরও বেড়েছে। দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নওয়াজ আদালতের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। এর পর তিনি আর ফেরেননি।

জাভেদ লতিফ বলেন, নওয়াজের সম্ভাব্য দেশের ফেরা–সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত জোটের শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া হবে। সব সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রথমে জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে।

দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা ফারহাতুল্লাহ বাবর বলেন, নতুন নির্বাচনে যেতে জোট সরকারের কমপক্ষে সাত মাস সময় লাগতে পারে। ভোটগ্রহণে প্রস্তুতির জন্য নির্বাচন কমিশন যে সময় চেয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করেই তিনি এ সময়সীমার কথা বলছেন। এই কয়েক মাসের মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনি সংস্কার এবং নির্বাচনি আসন পুনর্বণ্টন সম্পন্ন করতে হবে, যা তাদের জন্য প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ।

৭২ বছর বয়সি নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত তিনি। পানামা পেপারস কেলেঙ্কারির অভিযোগ ২০১৭ সালের জুলাইয়ে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। চিকিৎসার কথা বলে ২০১৯ সালের নভেম্বর লন্ডন যান নওয়াজ।

সূত্র: যুগান্তর