নওগাঁয় ১৬ দিন পর কবরের উপরে মহিলার লাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ: নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ঘোলাদিঘী গ্রামের এক মহিলাকে ২ সেপ্টেম্বর দাফন করা হয়। দাফনের ১৬ দিন পর অলৌকিকভাবে তার লাশটি কবর হতে ডান পাশের কবরে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে। মঙ্গলবার সকালে কবরের পাশে ওই মহিলার লাশ পড়ে থাকতে দেখে গ্রামের মধ্যে হৈচৈ পড়ে যায়। এতে হাজার হাজার উৎসুক জনতা লাশটি দেখতে গ্রামের ওই কবর স্থানে ভিড় জমায়।
গ্রামবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা মতে, ওই গ্রামের আব্দুল লতিফের স্ত্রী মিলিয়ারা বেগম (৫০) ১ সেপ্টেম্বর (রবিবার) রাতে তার নিজ বাসায় মৃত্যু বরণ করেন। ২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সকাল ১০টার দিকে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। মহিলাকে কবরস্থ করার ১২ দিনের মাথায় ১৩ সেপ্টম্বর সকাল বেলায় তার কবরের উপরে একটি সুড়ঙ্গ দিয়ে ওই মহিলার একটি হাত বেরুনো অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া পাশে কাফনের কাপড় পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসী।
এরপর তার পরিবারের লোকজন স্থানীয় মৌলভী ডেকে দোয়া কালিমা পড়ে কবর হতে বেরুনো হাত ও কাফনের কাপড়গুলো পুনরায় কবরের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে সুড়ঙ্গটি বন্ধ করে দেয়।
রহস্যজনকভাবে ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে গ্রামের লোকজন কবর স্থানের দিকে গেলে তার কবরের পাশে ওই মহিলার লাশটি কাফনবিহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে।
এরপর ঘটনাটি জানাজানি হলে হাজার হাজার উৎসুক জনতা এক নজর দেখতে ওই কবর স্থানে ভিড় জমায়। ক্রমেই জনতার উপস্থিতি বাড়তে থাকায় ওই মহিলার পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি করে কবরের পাশে গর্ত না করেই মাটির উপর অন্যত্র হতে মাটি কেটে লাশটিকে মাটি চাপা দিয়ে ঢেকে দেয়।
সৃষ্ট ঘটনাকে অনেকেই বলছে, এটি কোনো শেয়াল কুকুরের ব্যাপার হতে পারে। আবার লাশটি যেহেতু অক্ষত তাই অনেকেই এটিকে দৈবৎ ও কাকতালীয় বিষয় বলেও মন্তব্য করেছেন। গ্রামবাসী ও মৃত মিলিয়ারা বেগমের পরিবারের লোকজন ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওই গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি আব্দুর রইচ বলেন, ১৬ দিন আগে মিলিয়ারা বেগম মারা যায়। তারপর তাকে মাটি দেওয়ার প্রায় ১২ দিন পর লাশের হাত ও কাফনের কাপড় কবরের উপরে দেখা যাওয়ায় গ্রামের লোকজন ও মৌলভী দিয়ে দোয়া দরুদ করে কাফনের কাপড় ও হাত কবরে ঢুকে দেওয়া হয়। আর আজ (মঙ্গলবার) ওই লাশটি কবরের পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে মাটি দিয়ে লাশটি ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
স/শা