নওগাঁয় সোবহান হত্যা: পলাতক আসামী ইউপি সদস্যের বাদীকে হুমকি

নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁ সদর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের কাদোয়া গ্রামের বহুল আলোচিত আব্দুস সোবহান হত্যা মামলায় পলাতক মূল পরিকল্পনাকারী স্থানীয় ইউপি সদস্য মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদীকে হুমকি এবং সংশ্লিষ্ট ইউপির প্রভাবশালী চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যকে এই মামলার অভিযোগ থেকে বাঁচাতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে নিহতের ছেলে এবং মামলার বাদী  আল আমিনের অভিযোগ।

মামলার বাদী  আল আমিন বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকে পলাতক অবস্থায় মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নং থেকে আসামী শামীম হোসেন আমাকে মামলা তুলে নেবার জন্য ভয় দেখাচ্ছে। মামলা তুলে না নেয়া হলে আমাকে জানে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, হুকুমের আসামী ইউপি সদস্য শামীমের কিছুই হবেনা, তার নাম এমনিতেই বাদ পরবে এমন কথা বলছেন চেয়ারম্যান রেজাউল করিম।

তিনি আরো বলেন, ‘এঘটনায় আমার বাবা হাসপাতাল যাওয়ার পথে মারা যায়, জীবিত  ৮জন পুঙ্গু প্রায়। একদিকে আমরা গরীব মানুষ, একদিন কাজ না করলে পেট ভাত পাবেনা। অন্যদিকে প্রভাবশালী চেয়ারম্যানসহ আসামীদের হুমকির জন্য বাড়ীতে থাকায় দায়।’

বাদীর অভিযোগ সমূহ অস্বীকার করে তিলকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, আসামীদের কাউকে চার্জশীট থেকে নাম বাদ দেওয়ার আমি কে? তিনি বলেন, নিহত সোবহান নিরপরাধ। তার হত্যাকারীদের আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। পাশাপাশি এটাও চাই যে, কোন নিরপরাধী ব্যক্তি যেনো শাস্তি না পায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নওগাঁ সদর থানার এসআই আনাম বলেন, বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে ১নং আসামীসহ ১০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১নং আসামীকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের ধরার জোর প্রচেষ্টা চলছে। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, খুনের সাথে জরিত কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা।

উল্লেখ্য, পুর্বশত্রুতার জেরে গত ১৭ই মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিলকপুর ইউনিয়নের কাদোয়া গ্রামে এক ভয়াবহ সংঘর্ষে আব্দুস সোবহান নিহত এবং ৮জন গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় ওই দিন বিকেলে নওগাঁ সদর মডেল থানায় ২০জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ৫/৭জনকে আসামী করে নিহতের ছেলে আল আমিন ৬৩নং একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ৩ এবং ১৯ নং আসামী আফজাল এবং শামীম হোসেনের হুকুমে অন্যান্য আসামীরা আমার মামাদের বাড়িতে অনধিকার প্রবশে করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে খুনজখম করে চলে যায়। এতে গুরুতর জখমী সোবহান, সিদ্দিক, গোলাম মোস্তফা, আশরাফুল, আরিফ, সাথী, মামুন, আকলিমা এবং সুলেখাদের নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকলকে ভর্তি করলেও সিদ্দিক ও গোলাম মোস্তফাকে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড এবং সোবহানকে মৃত ঘোষনা করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

স/আ