নওগাঁয় দখল না পাওয়ায় পুড়লো জমির ধান

নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ:
নওগাঁয় সম্পত্তির দখল না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে আড়াই বিঘা জমির বোরো ধান কীটনাশক স্প্রে করে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বিকেলে নওগাঁ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন জমির মালিক রবিউল আলম।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ সদর উপজেলার শৈলগাছী গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে রবিউল ইসলাম গংরা পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত আড়াই বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করেন। রোপনকৃত ধান গত রবিবার দুপুরে কীটনাশক স্প্রে করে পুড়িয়ে দেয় প্রতিবেশি মৃত মোয়াল্লেম হোসেনের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন। এতে করে ৭৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। শৈলগাছী গ্রামের তোজাম্মেল ও তারিকুল ইসলাম জানান, হতদরিদ্র ভ্যানচালক ফরহাদ ও রবিউলের বাবা মারা যাওয়ার পর দেখে ওই সম্পত্তি তাদের। গত ৩ বছর যাবৎ তারা ওই জমিতে চাষাবাদ করছে। এবার তাদের রোপনকৃত ধান কীটনাশক স্প্রে করে পুড়িয়ে দিয়েছে মোয়াজ্জেম।
কীটনাশক স্প্রে করা দিনমজুর আসাদুল ইসলাম সুটকা জানান, আমি রক্সিা চালায় ও মাঝে মধ্যে দিনমজুরের কাজ করি। কোন জমি কার সেটা আমি চিনি না। সেদিন মোয়াজ্জেম ভাই নিজে উপস্থিত থেকে আমাকে ক্ষতিগ্রস্থ ওই জমিগুলোতে কীটনাশক স্প্রে করায়। ওষুষ স্প্রে করা বাবদ আমাকে ২০০ টাকা মজুরী দিয়েছে।
অভিযুক্ত মোয়াজ্জেম ওই ধান ক্ষেতগুলোতে কীটনাশক স্প্রে করার কথা স্বীকার করে বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত কবলা দলিল মূলে ওই জমিগুলি আমরা ভোগ-দখল করে আসছিলাম। গত ৩ বছর যাবত ওই জমিগুলোতে আমাকে আর দখল দিচ্ছে না। থানা পুলিশ করেও কোন লাভ হয়নি। এজন্য এবার ওরা ধান রোপন করেছে, আমি বিষ প্রয়োগ করে পুড়ে দিয়েছি।
অভিযোগ তদন্তকারী অফিসার (এস.আই) নুরুল ইসলাম জানান, জমিতে কীটনাশক স্প্রে করে বোরো ধান পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। অভিযুক্ত মোয়াজ্জেম ধান পুড়িয়ে দেয়ার  কথা স্বীকারও করেছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান সমঝোতার চেষ্টা করছে। সমঝোতা না হলে মামলা রেকর্ড করা হবে।
স/শা