নওগাঁয় চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে মিঠন (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনিতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৭সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের পুংগী (নিবদা) আদিবাসী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।

নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইন চার্জ হুমায়ন কবির জানান, ঐ ব্যক্তি পুংগী নিবদার আদিবাসী পাড়ায় চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে মারা গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, মিঠন পোরশা উপজেলার মশিদপুর গ্রামের হারুন-অর-রশিদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে গরু, মটরসাইকেল, মুরগী, ছাগল, মোবাইল ও ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র চুরি ও ছিনতাই এর অভিযোগ রয়েছে। মিঠনসহ আরো তিন চারজন সোমবার রাত আনুমানিক ১টার দিকে পুংগী নিবদা গ্রামে চুরি করতে আসে।

সে সময় মিঠন একাই ঐ গ্রামের মৃত শুকুরের ছেলে দিপেনের বাড়িতে প্রাচীরের উপর দিয়ে ঢুকে। বাড়ীর সদস্যরা শব্দ পেয়ে জেগে গেলে তাকে ধরে বেধে বাড়ীর বাইরে নিয়ে আসে। অন্যরা পালিয়ে যায়।

ঐ গ্রামের বিশ্বজিৎ এ প্রতিবেদককে জানান, মিঠন ও তার সঙ্গীদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট। গরু, মুরগী, মটরসাইল, মোবাইল, ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র চুরিসহ ছিনতাই এমন কোন অপকর্ম নাই তারা করে না। মিঠনকে ধরে বেধে যখন বাড়ীর বাইরে নিয়ে আসে তখন গ্রামের অনেকে এসে রাগে তাকে মারতে শুরু করে। এতে সে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে যায়। সকালে সে মারা যায়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

চন্দননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বদি জানান, মিঠন চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন মামলার আসামী। সম্প্রতি সে তিনদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। ঐ রাতে সে চুরি করার জন্য পুংগী নিবদা গ্রামে গেলে ধরা পড়ে। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর পিটুনিতে মিঠন মারা যায়।

নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইন চার্জ হুমায়ন কবির জানান, মিঠনের লাশ উদ্ধার করে নওগাঁ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স/আর