ধোনিকে নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করলেন হরভজন

২০১৬ সালের পর আর জাতীয় দলে ঠাঁই হয়নি হরভজন সিংয়ের।

পাঁচ বছর চেষ্টা করেও ধোনি ও কোহলির দলে সুযোগ পাননি।

অবশেষে একবুক কষ্ট নিয়ে অবসরের ঘোষণা দেন এই ভারতীয় অফস্পিনার।

গত ২৪ ডিসেম্বর অবসরের ঘোষণা দিলেও এ নিয়ে বিতর্কিত কোনো মন্তব্য করেননি ভাজ্জি।

এবার হৃদয়ের গহীনে পুষে রাখা কষ্ট মুখ ফসকে বেরিয়েই গেল। তার দল থেকে বাদ পড়ার কারণ হিসেবে দুষলেন সেই সময়ের বিসিসিআই কর্মকর্তাদেরসহ অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনিকে।

৪১ বছর বয়সি এই সাবেক তারকা জি নিউজকে দেওয়া শুক্রবারের সাক্ষাৎকারে ক্ষোভ ঝারলেন।

একদশে ঠাঁই না পাওয়ার বিষয়ে অবশ্য সে সময়ের অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনিকে কিছুটা হলেও দোষ দিলেন হরভজন।

বললেন, ‘ধোনিই ছিল আমার অধিনায়ক। যদিও আমি মনে করি বিষয়টি অধিনায়কের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। বিসিসিআইয়ের কিছু কর্মকর্তা এর নেপথ্যে ছিল।  আমাকে তারা প্রয়োজন মনে করেনি। অধিনায়কও বিষয়টিকে হয়তো সমর্থন করেছে। তবে অধিনায়কের ক্ষমতা বিসিসিআইয়ের বেশি হতে পারে না। বিসিসিআই কর্মকর্তারা সব সময়ই অধিনায়ক, কোচের চেয়ে বড়।  আমি শুরুর দিকে জিজ্ঞাসা করার চেষ্টা করেছিলাম যে, কারণটা কী? তবে আমাকে কোনও কারণ জানানো হয়নি। আমি বুঝতে পারি, আমার সঙ্গে এমন ব্যবহারের কারণ কী এবং এর পিছনে কে রয়েছে, তা জানতে চাওয়া বৃথা। ’

ক্যারিয়ারকে আরো বড় করতে পারতেন জানিয়ে আক্ষেপ ঝরল তার কণ্ঠে।

বললেন, ‘ভাগ্য সবসময়ই আমার পাশে ছিল। স্রেফ কিছু বাইরের বিষয় আমার পাশে ছিল না। তারা পুরোপুরিই আমার বিরুদ্ধে ছিল। হতে পারে আমি যেভাবে বোলিং করছিলাম এবং যে হারে সামনে এগিয়ে যাচ্ছিলাম সেই কারণে। ৩১ বছর বয়সে আমি ৪০০ (টেস্ট) উইকেট নিয়েছিলাম। যদি আরও ৪-৫ বছর খেলতে পারতাম, নিজের মানের কথা বিবেচনা করে আমি বলতে পারি আরও ১০০-১৫০ উইকেট নিতে পারতাম। ৪০০ উইকেট নেওয়া একজন বোলারকে কীভাবে বাতিলের খাতায় ফেলা যায়, সেটা আজও আমার কাছে রহস্য। যে রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি। আসলে কী এমন ঘটেছিল, তা ভেবে আমি আজও অবাক হই। আমি দলে থাকলে কার এমন অসুবিধা হতো? সেটা আজও আমার কাছে ধাঁধা।’

মাঠ ও মাঠের বাইরের নিজের জীবন সবার সামনে তুলে ধরতে চান হরভজন। সেই লক্ষ্যে তার জীবন নিয়ে বলিউড বায়োপিক বানাক এটা চান তিনি।

বললেন, ‘আমার জীবনের ওপর একটি চলচ্চিত্র বা একটি ওয়েব সিরিজ তৈরি হলে ভালোই হবে, তাতে মানুষ আমার বলা গল্পটা জানতে পারবে-আমি কেমন মানুষ ছিলাম এবং কী করেছি। আমার বায়োপিকে কে ভিলেন হতে পারে বলতে পারছি না। হয়তো একজন হবে না, অনেকজন হতে পারে।’

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক হয় হরভজন সিংয়ের। পরের মাসেই শারজায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডেতে ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।

২০০৩ বিশ্বকাপের দলে ছিলেন তিনি। ১০৩ টেস্টে ৪১৭ উইকেট শিকার করেছেন হরভজন। ২৩৬ ওডিআই খেলে ২৬৯ উইকেট জমা করেছেন ঝুলিতে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর