মেয়েটির বাবা আব্দুল মান্নানের অভিযোগ, ঘটনার পরে তিনি থানায় ধর্ষণ মামলা করতে গেলেও পুলিশ প্রথমে মামলা নেয়নি। শেষে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে ঘটনার চারদিনের মাথায় ২৭ এপ্রিল অপহরণ চেষ্টা, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেয় পুলিশ।
মেয়েটির বাবার অভিযোগ, মামলার পরেও মেয়েটিকে কোনো নিরাপত্তা দিতে পারেনি পুলিশ। কিন্তু তদন্তের নামে মেয়েটিকে একই বিষয়ে বার বার জিজ্ঞাসাবাদ করে মানসিকভাবে আরো বিপাকে ফেলানো হয়েছে। আত্মহত্যার দিনও কয়েকজন পুলিশ সদস্য বাড়িতে গিয়ে মেয়েটিকে একই বিষয়ে বার বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
তবে মামলার ক্ষেত্রে পুলিশের কোনো গাফলতি ছিল না বলে রোববার দাবি করেন মোহনপুর থানার ওসি আবুল হোসেন। তিনি বলেন, মামলা হওয়ার পরে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক আসামি এখনো কারাগারে আছে। আবার আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কাজেই পুলিশ যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, মামলার স্বার্থেই ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাকে মানসিকভাবে হয়রানির প্রশ্নই আসে না।
আত্মহত্যার আগে সুমাইয়া আক্তার বর্ষা এক চিঠিতে লিখেছে, ‘প্রিয় বাবা-মা তোমাদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি অনেক কিছু পেয়েছি, অনেক আদর, অনেক ভালোবাসা। কিন্তু একটা মেয়ের কাছে তার মানসম্মান সবচেয়ে বড়। আমি আমার লজ্জার কথা সবাইকে বলতে বলতে নিজের কাছে অনেক ছোট হয়ে গেছি। প্রতিদিন পর পুরুষের কাছে এসব বলতে বলতে আমি আর পারছি না। অপরাধিকে শাস্তি দিলেই তো আমার মানসম্মান ফেরত পাব না। তাই আমাকে ক্ষমা করো। ’
স/শা