ধর্ষণ…গর্ভপাত…মাটি চাপা…লাশ উত্তোলন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

যশোরের কেশবপুরে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ ও জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটিয়ে তার গর্ভের সন্তানকে মাটিচাপা দেওয়ার ৫ দিন পর শনিবার সকালে আদালতের নির্দেশে কেশবপুর থানা পুলিশ সেই লাশ উত্তোলন করে। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এনামূল হক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, কেশবপুরের সারুটিয়া গ্রামে নানা বাড়ি থেকে লেখাপড়া করত মেয়েটি। সে নবম শ্রেণির ছাত্রী। এলাকার প্রভাবশালী ও আব্দুল খালেক সরদারের ছেলে ৩ সন্তানের বাবা বিল্লাল হোসেন (৪০) মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ফলে ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

গত ২৫ জুন বিল্লাল হোসেন সরদার অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করায়। গর্ভপাত ঘটিয়ে প্রথম পুকুরের পানিতে ফেলে। ঘটনাটি জানাজানির পর লাশটি তুলে গ্রামের ইউনুচ সরদারের এজমালি কবরস্থানে মাটি চাপা দেয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী ও গ্রাম পুলিশ কবরস্থানটি ৫ দিন পাহারা দিয়ে রাখে। এ ঘটনায় কেশবপুর থানায় ২৬ জুন ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করে। থানার পুলিশ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন জানান, শিশুর লাশ ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ সংরক্ষণের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।