বৃহস্পতিবার , ২৮ জুন ২০১৮ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ধর্ষণের সাজা ১০ বেত্রাঘাত!

Paris
জুন ২৮, ২০১৮ ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নোয়াখালীতে ধর্ষণের শিকার এক গৃহবধূ প্রভাবশালীদের চাপের মুখে ৬ দিনেও মামলা করতে পারেননি। বরং প্রভাবশালীরা সালিশ বৈঠকে বসতে বাধ্য করেছে তাকে। আর ওই বৈঠকে ধর্ষণের সাজা দেয়া হয়েছে ১০টি বেত্রাঘাত!

সদর উপজেলার আণ্ডারচর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হায়দার বকশি ও কাউন্সিলর ফেরদাউস ইউনিয়ন পরিষদে বুধবার ওই সালিশ বৈঠক ডাকেন। দুই শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে ধর্ষক আনোয়ার হোসেনকে (২২) ওই সাজা দেয়া হয়। আনোয়ার আণ্ডারচর গ্রামের গাড়িচালক ইসমাঈলের ছেলে।

এলাকাবাসী জানান, ২ মাস ধরে বাড়িতে এসে আনোয়ার ওই গৃহবধূকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। একদিন বাড়িতে কেউ না থাকায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় আনোয়ার। এ নিয়ে মামলা করতে চাইলে আনোয়ার ও ইউপি চেয়ারম্যান সালিশে সমঝোতা করার প্রস্তাব দেন।

এরই মধ্যে ১৮ জুন আনোয়ার সুযোগ বুঝে বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এবারও মামলা করতে বাধা দেয়া হয় গৃহবধূ ও তার স্বামীকে। বুধবার সালিশে বসতে বাধ্য করা হয় তাদের। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আনোয়ার ও তার বাবার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও ২০ হাজার টাকা নিয়ে কাউন্সিলর ওই সালিশ ডাকে।

জানতে চাইলে টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেন ইউপি চেয়ারম্যান আলী হায়দার বকশি। তিনি বলেন, ‘সালিশ বৈঠকে অপরাধী প্রমাণিত হওয়ায় আনোয়ার হোসেনকে ১০টি বেত্রাঘাত করা হয়েছে।’ ইউপি চেয়ারম্যানের বিচার করার এখতিয়ার আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরের কাছে ‘নেই’ বলে স্বীকার করেন।

জানতে চাইলে সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ধর্ষণ ও সালিশের বিষয়টি আমার জানা নেই। খবর নিচ্ছি।

সর্বশেষ - জাতীয়