ধর্ষকদের জেলে বসে পরিচয়, বের হয়ে খাগড়াছড়িতে প্রতিবন্ধীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ!

‘খাগড়াছড়িতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার সাতজনই বিভিন্ন মামলায় জামিনপ্রাপ্ত আসামি। তারা অস্ত্র, ডাকাতি, চুরি, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধে কারাগারে সাজাভোগ করে বের হয়েছেন। কারাগারে থাকাকালীন আসামিদের মধ্যে পরিচয় হয়। জেলখানা থেকে বের হয়ে আসামিরা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।’

রবিবার জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ। এই ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার সাতজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নুরুল আমিন, বেলাল হোসেন, ইকবাল হোসেন, আব্দুল হালিম, শাহিন মিয়া, মো. অন্তর ও আব্দুর রশিদ। তাদের সবার বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর, গুইমারা, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা উপজেলায়।

মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ বলেন, ৯ জনের সংঘবদ্ধ একটি দল গণধর্ষণের পাশাপাশি ওই বাড়িতে লুটপাট চালায়। আসামিদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি লুটপাট হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখিত অভিযোগের সাথে আসামিদের স্বীকারোক্তির মিল রয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং বাকি দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, খাগড়াছড়ি সদরের সংগঠিত সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পেছনে সাম্প্রদায়িক কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। ডাকাতি করতে ঢুকে প্রতিবন্ধী ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা।

খাগড়াছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, রবিবার গ্রেপ্তার সবাইকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনার সব কিছু স্বীকার করায় তাদের রিমান্ড চাওয়া হয়নি। ওই নারী খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার গভীর রাতে খাগড়াছড়ি শহরে এক পাহাড়ি পরিবারে ডাকাতি করতে ঢোকে একদল যুবক। এ সময় তারা মাকে বেঁধে রেখে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ করে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ