সোমবার , ৩০ আগস্ট ২০২১ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

দেড়শ যাত্রীর জীবন যেভাবে বাঁচিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ

Paris
আগস্ট ৩০, ২০২১ ৮:৩১ অপরাহ্ণ

শুক্রবার মাসকাট-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইট বিজি ০২২ মোট ১২৪ যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার পথে পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।

পরে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে। এর পর নাগপুরের ওই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতেই নওশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাকে লাইফসাপোর্টে নেওয়া হয়। মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তিনি ‘কোমায়’ চলে যান।

ক্যাপ্টেন নওশাদ ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ হলেও স্বজনরা লাইফসাপোর্ট খুলে দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর লাইফসাপোর্ট খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন তারা। এর পর সোমবার তার লাইফসাপোর্ট খুলে দিয়ে নওশাদকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

নওশাদ বাংলাদেশ বিমানের একজন দক্ষ পাইলট ছিলেন। তার দক্ষতায় ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর বেঁচেছিল ১৪৯ যাত্রী। সঙ্গে ছিলেন ক্যাপ্টেন (প্রধান পাইলট), ফার্স্ট অফিসার (পাইলট) আর পাঁচজন কেবিন ক্রু।

২২ ডিসেম্বর রাত তিনটার দিকে ওমানের মাস্কাট বিমানবন্দর থেকে দেড় শতাধিক আরোহী নিয়ে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।  বিমানটি উড্ডয়নের সময় একটি চাকা বিকট শব্দে ফেটে যায়। তবুও বিমানটি আকাশে উড়ানোর পর আর মাস্কাট বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে সেটি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়।

১৮ টন জ্বালানি আর ৬০ টন ওজনের বিমানটির। সব মিলিয়ে ৭৮ টন ওজনের বিমানটি জরুরি অবতরণ ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। একটু এদিক-সেদিক হলেই বিস্ফোরিত হতো উড়োজাহাজটি। প্রাণ যেতে পারত সব আরোহীর। তবে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে পাঁচ ঘণ্টা চালিয়ে ঢাকায় জরুরি অবতরণ করান বিমানটি। ওই সময়ে তার সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট অফিসার মেহেদী হাসান।

এর স্বীকৃতি হিসেবে বৈমানিকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব এয়ারলাইনস পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএফএএলপিএ) প্রশংসাপত্র পেয়েছিলেন নওশাদ।

আর মৃত্যুর আগে শেষবারের মতো মধ্য আকাশে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়ার পরও শতাধিক যাত্রীকে বাঁচিয়েছেন এ বৈমানিক।

ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম ২০০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে এস-২০৮ উড়োজাহাজে ফাস্ট অফিসার পদে যোগ দেন। সেখান থেকে এয়ারবাস সি ৩১০-এ ফাস্ট অফিসার হিসেবে প্রমোশন পান।  এর পর ৭৭৭-৩০০ সিআর উড়োজাহাজের ফাস্ট অফিসার হিসেবে পদোন্নতি পান। পরে সি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজেরর ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতি পান। তিনি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।  পাইলট নওশাদের বাসা উত্তরাতে। নওশাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে আমেরিকাতে তার স্ত্রীর সঙ্গে থাকে।

সর্বশেষ - জাতীয়