দেশে ১৬৩ পোশাক কারখানা চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ : বাণিজ্যমন্ত্রী

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সংসদে জানিয়েছেন, সরকারিভাবে দেশে ১৬৩টি পোশাক কারখানার ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৯টি কারখানা বন্ধ ও ৮৬টি কারখানা আংশিক বন্ধ করা হয়েছে। অবশিষ্ট কারখানাগুলোর সংস্কার কাজ চলছে।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারী দলের সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণ। জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, রানা প্লাজা দূর্ঘটনার পর ইউরোপীয় ক্রেতা সংগঠন একর্ড, উত্তর আমেরিকার ক্রেতা সংগঠন এলায়েন্স ও জাতীয় উদ্যোগের আওতায় ৩ হাজার ৭৮০টি কারখানার প্রিলিমিনারি এসেসমেন্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক, রাজউক, সিডিএ, কেডিএ-এর সদস্য ও বুয়েট-এর সদস্যদের সমন্বয়ে রিভিউ প্যানেল এসব কারখানা চিহ্নিত করেছে।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রতিবেশি দেশ ভারত থেকে প্রধানত চাল, গম, ডাল, দুধ ও চিনি জাতীয় খাদ্য আমদানী করা হয়ে থাকে। এছাড়া গুড়া মশলা, হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ, চিংড়ী মাছ, ফলমূল, কৃষি পণ্য, শাক-সবজি প্রভৃতি খাদ্য সামগ্রী রপ্তানি করে থাকে।

আওয়ামী লীগের আরেক সদস্য আনোয়ারুল আজীমের প্রশ্নের জবাবে টিপু মুন্সী বলেন, বর্তমানে ব্রাজিল, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়া থেকে চিনি আমদানী করা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে চিনির বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১৬ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৬-১৭ অর্থ বছওে সরকারি চিনিকলে উৎপাদন ছিলো ৬৮ হাজার ৫৬২ মেট্রিক টন। দেশের চাহিদা অনুযায়ি চিনির উৎপাদন কম থাকায় চিনি আমদানী বন্ধ করার কোন পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।

বিরোধী দলীয় সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ-এর প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য মন্ত্রী বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা পাওয়া পদক্ষেপের তথ্য তুলে ধরে বলেন, ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ,আফ্রিকার বিভিন্ন দেম ও সিআইএসভুক্ত দেশে বাজার সম্প্রসারনের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিনিধির সমন্বয়ে বাণিজ্য মিশন পাঠানো অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ও স্বাক্ষরের পরিকল্পনা রয়েছে। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার লক্ষ্যে পলিসি গাইডলাইন ফর ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট ২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী টিপু মুন্সী রমজান মাসে পণ্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে ভোক্তা সাধারনের মধ্যে বিক্রির জন্য টিসিবি প্রতি বছর বিশেষ করে রমজান উপলক্ষে চিনি, সয়াবিন তেল, ছোলা, মসুর ডাল, খেজুর ও পেঁয়াজ ইত্যাদি সাশ্রয়ী মূল্যে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে থাকে।