দেশে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে ই-বর্জ্য

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:  দেশে ইলেক্ট্রনিক ও ইলেক্ট্রিক্যাল পণ্য ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে ই-বর্জ্য। পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাতিল হওয়া কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ফটোকপি মেশিন, মাইক্রোওভেন, ব্যাটারি ইত্যাদি। ফলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুষ্ঠু আইনি কাঠামো জরুরি হয়ে পড়েছে। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে এক সেমিনারে এসব কথা বলা হয়। এর শিরোনাম ছিল ‘ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আইনি কাঠামো: পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা’।

সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজনকরে গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি ও বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাকসুদ। তিনি বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন গুরুত্বের সঙ্গে। এর মধ্যে রয়েছে— বাংলাদেশের পৌর বর্জ্য ও ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত মানুষ ও তাদের অমানবিক জীবন, জাতীয় অর্থনীতিতে বর্জ্যজীবী, ময়লার ভ্যানকর্মী, সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মী ও রিসাইক্লিং কর্মীদের অবদান, পৌর ও ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিদ্যমান আইনি কাঠামো, পৌর ও ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য আইনি কাঠামোতে সুনির্দিষ্টভাবে কী কী থাকা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বরাত দিয়ে সেমিনারে জাননো হয়, বাংলাদেশে ১১ দশমিক ৬৫ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহার হচ্ছে, যার ওজন ১ হাজার ১২৫ টন। মানুষ ও পরিবেশের জন্য বর্জ্যের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে এখন আইন করে নিয়ন্ত্রিতভাবে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। তাই ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী উৎপাদকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন এবং পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ই-বর্জ্য ও পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সর্ম্পকিত আইন ও বিধিমালার কার্যকর প্রয়োগ করার কথা উল্লেখ করা হয়।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরামের মহাসচিব খায়রুজ্জামান কামাল। এখানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির খন্দকার রিয়াজ হোসেন, এ বি কে রেজা, মোসাম্মৎ তাহমিনা আক্তার, ইমতিয়াজ রসুল, সৈয়দ মাহবুবুল আলম, সায়মা সাইদ প্রমুখ।

 

বাংলাট্রিবিউন