দেশে সবকিছুর দাম বাড়লেও দাম কমছে আওয়ামী লীগের: গয়েশ্বর

দেশে সবকিছুর দাম বাড়লেও আওয়ামী লীগের দাম কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, আজ বিদ্যুতের দাম বাড়ানো, কাল গ্যাসের দাম বাড়ানো, পরশু পানির দাম বাড়ানো- এভাবে দাম বাড়াতে বাড়াতে এমন অবস্থা করছে এমন একটা জিনিস নাই যে জিনিসটার দাম কম। তবে একটা জিনিসের দাম কিন্তু কমে যাচ্ছে প্রতিদিন। সেটা হলো শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তারুণ্যের রোডমার্চ শুরুর আগে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র আরও বলেন, আজ শেখ হাসিনাকে তাড়ানো এতবড় দায়িত্ব হলো কেন? কারণ ওরা বলছে তারা ক্ষমতায় না থাকলে এক লাখ লোক মারা যাবে। আর ওয়া ক্ষমতায় থাকলে ১৮ কোটি মানুষ মারা যাবে। ওরা জনগণের ওপর ভরসা করে না। ওদের একটা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছে আন্তর্জাতিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছে আমি ভারতকে বলছি শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। অর্থাৎ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার মালিক কে? ভারত। আমাদের দেশের জনগণ না।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, জনগণের দেশে বাস করবেন জনগণের সরকার হতে পারবেন না। জনগণের কাছে ভোট চাইতে পারবেন না। তাইলে আপনাদের মন্ত্রী থাকতে হবে কেন? বাংলাদেশ জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে নির্বাচনে জয়ী হয়ে কারা সরকার গঠন করবে।

সমাবেশে ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত- ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হাসান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাভোবোকেট ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, ওয়ারেস আলী মামুন, নির্বাহী কমিটির সদস্য লায়লা বেগম, শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভৈরব পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে রোডমার্চে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ভৈরব থেকে শুরু হওয়া রোডমার্চ সিলেট আলিয়া মাদরাসা মাঠ সংলগ্ন সড়কে গিয়ে শেষ হবে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার হয়ে সিলেটে গিয়ে শেষ হবে। এ রোডমার্চ পাঁচটি জেলাকে ছুঁয়ে যাবে। তাই প্রতিটি জেলায় একটি করে সমাবেশ হবে।

এ রোডমার্চে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও স্থানীয় বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে অংশ নেন।

বিভিন্ন দাবিতে সরকার পতনের আন্দোলন করে আসছে বিএনপি। এই আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গী হয়েছে তাদের সমমনা দলগুলো।