দেশে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়ালি এডিপির অনুমোদন হতে যাচ্ছে আজ

 

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) বেলা ১১টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে থেকে মন্ত্রী-সচিবরা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হবেন। এনইসি সভার সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী।

আজকের সভায় আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন হওয়ার কথা রয়েছে। এবারের এডিপির আকার হবে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।

এর আগে ১২ মে পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। এরপর এনইসির চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে চূড়ান্ত করা খসড়া এডিপি।

ওই দিন পরিকল্পনামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, নতুন এডিপিতে ১০টি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রথম হলো পরিবহন, যা সড়ক ও সেতু মিলিয়ে। এতে মোট বাজেটের ২৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। যা চারভাগের এক ভাগেরও বেশি। এতে মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫২ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। অবকাঠামো, পানি ও গণপূর্ত খাত দ্বিতীয় গুরুত্ব পেয়েছে। এই খাতে বরাদ্দ বাজেটের ১৩ শতাংশ, এতে মোট বরাদ্দ ২৫ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা। তৃতীয় গুরুত্ব পেয়েছে বিদ্যুৎ খাত। এখানে বাজেটের ১২ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ২৪ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা। চতুর্থ স্থানে রয়েছে শিক্ষা ও ধর্ম। এ খাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। টাকায় যার পরিমাণ ২৩ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, পঞ্চম গুরুত্ব পাওয়া এ খাতে মোট বাজেটের ৯ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৮ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা।

ষষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের ৮ শতাংশ। এতে মোট ব্যয় হবে ১৫ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা। সপ্তম গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্যা পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় খাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের প্রায় ৭ শতাংশ, টাকায় যার পরিমাণ ১৩ হাজার ৩৩ কোটি। অষ্টম গুরুত্বপূর্ণ কৃষি খাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের ৪ শতাংশ, টাকায় যার পরিমাণ ৮ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা। এরপর পানি সম্পদ খাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের প্রায় ৩ শতাংশ বরাদ্দ, টাকায় যার পরিমাণ ৫ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা। দশম গুরুত্বপূর্ণ খাত জনপ্রশাসনে বরাদ্দ মোট বাজেটের প্রায় ২ শতাংশ। এতে খরচ করা হবে ৪ হাজার ৪৯ কোটি টাকা। এই হলো এডিপির ১০টি উচ্চ খাত।

সাতটি মেগা প্রকল্পে বরাদ্দের প্রস্তাব তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, মেগা প্রকল্পের মধ্যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৫ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা। তারপরে রয়েছে পদ্মা সেতু, এতে বরাদ্দ ৫ হাজার কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মেট্রোরেল, এতে বরাদ্দ ৪ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। চতুর্থ মহেশখালি মাতারবাড়ির কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পে ৩ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। পঞ্চম গুরুত্ব পাওয়া প্রকল্প পয়রা গভীর সমুদ্রবন্দরে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। পদ্মাসেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প ষষ্ঠ গুরুত্ব পেয়েছে। এতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা। সপ্তম গুরুত্ব পাওয়া দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পে ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ