দেশে ধূমপায়ী করোনা রোগীর সংখ্যা ‘ধারণার চেয়ে কম’

চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাজ্যের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া করোনা রোগীদের ডেটা বিশ্লেষণ করে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউসিএল) গবেষকেরা জানিয়েছেন, ধূমপান করা ব্যক্তিরা কভিড-১৯ রোগে ধারণার চেয়ে কম আক্রান্ত হচ্ছেন।

মোট ২৮টি গবষেণাপত্র বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানিয়েছেন, একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে যুক্তরাজ্যে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র পাঁচ শতাংশ ‘ধূমপায়ী’। পুরো দেশের ক্ষেত্রে সেটি ১৪.৪ শতাংশ হতে পারে।

 

ফ্রান্সের একটি গবষেণায় দেখা গেছে, সেখানে ধূমপায়ী রোগীর সংখ্যা চার গুণ কম।

একইভাবে চীনে এই হার ৩.৮ শতাংশ। অথচ দেশটির অর্ধেকের বেশি মানুষ ধূমপান করেন।

২৮টির মধ্যে দুটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ধূমপায়ী ব্যক্তিরা আক্রান্ত হলে বাইরে থেকে তাদের খুব অসুস্থ মনে হয়। অধিকাংশকে ভেন্টিলেশনে নিতে হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুরু থেকে জানিয়েছে, ধূমপান করা ব্যক্তিরা করোনায় আক্রান্ত হলে দ্রুত অসুস্থ হন। তাদের আক্রান্তের ঝুঁকিও বেশি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ইউসিএলের এই গবেষণায় ধূমপায়ীদের সংখ্যা এত কম কেন?

গবেষকদের ধারণা, ব্যস্ততার কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হয়তো রোগীদের ধূমপানের ইতিহাস ভালোভাবে নোট করেনি।

ধূমপায়ী রোগীদের সংখ্যা কম হওয়ার বিষয়টি এর আগে আরও পাঁচটি গবেষণায় উঠে আসে।

করোনার চিকিৎসার জন্য ফ্রান্সে এর আগে নিকোটিন টেস্টের কথা বলা হয়।

দেশটির চিকিৎসকেরা জানান, ধূমপানের আসক্তি কমাতে চামড়ায় ইনজেকশনের মাধ্যমে যে ‘নিকোটিন প্যাচ’ দেয়া হয়, সেটি দিয়ে করোনার চিকিৎসা করা যেতে পারে।

সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে তখন বলা হয়, নিকোটিন প্যাচে চিকিৎসা হতে পারে তার মানে এই নয় যে ধূমপান শুরু করতে হবে। নিকোটিন সেই সব রোগীদের রক্ষা করতে পারে তামাকের কারণে যাদের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।