দেশের বাইরেও নজর সিম্ফোনির, মাসে ৫ লাখ তৈরির লক্ষ্য

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

দেশের মোবাইল হ্যান্ডসেট বাজারে সিম্ফোনির একচেটিয়া রাজস্ব অনেক দিনের। এ অবস্থান আরও শক্ত করতে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডটি এবার স্থানীয়ভাবে হ্যান্ডসেট সংযোজনের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে।

স্থানীয় উৎপাদিত সেট দিয়ে সিম্ফোনি দেশীয় চাহিদার বড় অংশ পূরণের পাশাপাশি রপ্তানির লক্ষ্য নিয়ে কারখানা স্থাপন করতে চায়। আফ্রিকার দেশগুলো সম্ভাবনাময় বাজার হতে পারে বলে মনে করছেন কোম্পানির কর্মকর্তারা।

কোম্পানির এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সিম্ফোনির মূল কোম্পানি এডিসন গ্রুপের পরিচালক (মার্কেটিং) আশরাফুল হক।

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের মোবাইল হ্যান্ডসেট কারখানা স্থাপনের নির্দেশনা জারির প্রেক্ষিতে তারা এখন যত দ্রুত সম্ভব কারখানা স্থাপনের কাজে নেমে পড়তে চান। এ জন্য অল্প সময়ের মধ্যে কমিশনের কাছে এ বিষয়ে অনুমতির জন্য আবেদন করার কথা জানিয়েছেন আশরাফুল।

বিটিআরসির নির্দেশনার আগেও সরকার ২০১৭-১৮ সালের বাজেটে হ্যান্ডসেট আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন ও সংযোজনের শুল্ক ৩৭ শতাংশ থেকে এক ধাক্কায় মাত্র ১ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।

উদ্যোক্তারা বলছেন, এটি সরকারের দিক থেকে তাদের জন্য একটি বড় নীতি সহায়তা। এখন এ সুযোগ নেওয়ার সময় এসেছে।

বিটিআরসিতে এখনও আবেদন না করলেও সিম্ফনি এসবি টেল এন্টারপ্রাইজেস নামে দেশে হ্যান্ডসেট উৎপাদনের আগ্রহের কথা জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরকে। নিজেদের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাশাপাশি সহায়ক নীতিমালা প্রণয়নে বোর্ডকে অনুরোধ জানিয়েছে কোম্পানিটি। এ চিঠির অনুলিপি দিয়েছে বিটিআরসিকে।

আশরাফুল বলেন, রাজধানীর পাশেই দুটি জায়গায় তারা কারখানা স্থাপনের জন্য যাচাই বাছাই করছেন। এখানে তারা ফিচার ফোনের সঙ্গে স্মার্টফোনও তৈরি করবেন।

বিনিয়োগের অংক প্রকাশ করতে না চাইলেও ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে মাসে অন্তত পাঁচ লাখ হ্যান্ডসেট উৎপাদন ক্ষমতার কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছেন তারা। পরে এ সংখ্যা আরও বাড়বে।

বর্তমানে সিম্ফোনি দেশে মোট আমদানি হওয়া তিন কোটি ১২ লাখ হ্যান্ডসেটের বড় অংশের যোগানদাতা।

ফিচার ও স্মার্টফোন দুই ক্ষেত্রেই তারা এক নম্বর আমদানিকারক। গত বছর প্রায় এক কোটি ২০ লাখ হ্যান্ডসেট আমদানি করে সিম্ফনি ব্র্যান্ড হিসেবে বাজারে ছেড়েছে তারা।

মোবাইল ফোন কারখানা স্থাপনে আগ্রহী উদ্যোক্তারা বলছেন, বর্তমানে হ্যান্ডসেট গ্রাহকদের মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। বাকি ৭০ শতাংশের হাতে রয়েছে ফিচার ফোন। দেশে ফোরজি চালু হলে স্মার্টফোনের চাহিদা আরও বাড়বে। এ চাহিদা দেশে উৎপাদন বা সংযোজন শিল্পের জন্য সহায়ক হবে। এ ক্ষেত্রে তারা ভারতের উদাহরণ দেন। সেখানে অনেক স্থানীয় কোম্পানি ও বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোর কারখানা রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত অল্প দিন আগে উদ্যোগ নিয়ে এখন নিজেদের প্রয়োজনের ৭৬ শতাংশ মোবাইল ফোনসেট স্থানীয়ভাবে সংযোজন করছে। বাংলাদেশও একই পথে হাঁটতে পারে। আর এ জন্য দরকার স্বচ্ছ নীতিমালা ও রোডম্যাপ। এ দুটি ছাড়া তারা কাজ শুরু করতে পারছেন না।

সূত্র: টেকশহর