দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিল ফোরকান

নব্য জেএমবির সদস্য ও অনলাইনে বোমা তৈরির প্রশিক্ষক এবং কারিগর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদ হাসান ওরফে বোমা জাহিদকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।  জাহিদ কাতারপ্রবাসী ফোরকান, রাজু বা ফোরকান ভাই নামেও পরিচিত।

বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিটিটিসির প্রধান পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর কাফরুল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান জানান, অনলাইনে বিভিন্ন সিক্রেট অ্যাপ ব্যবহার করে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিতেন ফোরকান।

তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে ১০-১২টি পুলিশ বক্সে বোমা হামলার চেষ্টা চালায় নব্য জেএমবির সদস্যরা। বোমাগুলো ছিল একই প্যাটার্নের।  যারা বোমাগুলো বানায়, তাদের বিভিন্ন সময় অভিযানে গ্রেফতার করা হয়। এর পর নতুন করে আবার মেলে একই প্যাটার্নের বোমার খোঁজ। ফলে তদন্তে নামে সিটিটিসি।

তদন্তের একপর্যায়ে উঠে আসে প্রশিক্ষক ফোরকানের নাম।  তিনিই অনলাইনে বোমা বানানো শেখান।

সিটিটিসির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, ফোরকানের জন্ম ১৯৯৪ সালের ১২ অক্টোবর। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটায়।  তিনি লেমুয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০৯ সালে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পান। এর পর ২০১১ সালে পাথরঘাটা সৈয়দ ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পান। ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে ভর্তি হন তিনি।  স্নাতক সম্পন্ন করলেও মাস্টার্স শেষ করেননি।

সিটিটিসিপ্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, ফোরকান বেশ কিছু দিন ধরে পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি গ্রেফতার হন তার দুই সহযোগী শফিকুর রহমান হৃদয় ওরফে বাইতুল্লাহ মেহসুদ ওরফে ক্যাপ্টেন খাত্তাব ও মো. খালিদ হাসান ভূঁইয়া ওরফে আফনান।

 

 

সূত্রঃ যুগান্তর