দেশি গরু পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন পদ্মার চরের মানুষ

বাঘা প্রতিনিধি:
দেশি জাতের গরু পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন রাজশাহীর পবা উপজেলার পদ্মার চরখানপুর ও চরখিদিরপুর চরের মানুষ। এই দুই চরে শংকর, ব্রাহমা, হাইাব্রিট জাতের গরুর চেয়ে দেশি জাতের গরুতে লাভ বেশি বলে পালনকারীরা জানান।

 

সম্প্রতি চরখানপুর চরে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, এই চরে গরু পালনকারী মেজারুল ইসলামের মা গরুর পরিচর্যা করছে। তার ২০টি গরু রয়েছে। এই গরুগুলোর বয়স এক থেকে আড়াই বছর। তার বাবা ইসমাইল হোসেন বছর তিনেক আগে মারা গেছে। বাবার রেখে যাওয়া কোন জমি ছিল না। কয়েক বছর ভারত থেকে আনা নেওয়া গরুর রাখালীর কাজ করে। এই রোজগারের টাকা দিয়ে প্রথমে একটি দেশি জাতীয় গরু কিনেন। তার একটি গরু থেকে বর্তমানে ২০টি গরু হয়েছে। তার মা সাজেদা বেওয়া ছেলের পাশাপাশি গরুর পরিচর্যা করেন। এছাড়া তার স্ত্রী রুনাও সহযোগিতা করেন।

 
রাজশাহীর শহরের সাহেব বাজার বড় কুঠি থেকে চরখানপুর ঘাট পর্যন্ত নৌকার মাঝির কাজ করেন জামাল উদ্দিন। তারও ৫০টি দেশি জাতের গরুর খামার রয়েছে। তবে তিনি ১০ বছর আগে শহরের চলে এসেছে। তার চরখিদিরপুর চরে খামার বাড়ি রয়েছে। এই চরে তিনি গরু পালন করেন।

 
এছাড়া চরখিদিরপুর ও চরখানপুর চরের কামাল হোসেন, আকামুদ্দিন, আবদুল হান্নান, তাহার আলী, আশরাফ উদ্দিন, বদর হোসেন, আবদুল মালেক, আজিজ হোসেন, রেজাউল করিম, আবদুর রশিদ, জনি হোসেন, হাফিজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, আলাউদ্দিন গরু পালনের খামার রয়েছে। তারা সবাই দেশি জাতের গরু পালন করে। এই জাতের গরুতে চাহিদা ও লাভ বেশি তাই পালন করে।

 
জেলা প্রাণিসম্পদক কর্মকর্তা অফিস সিল্কসিটি নিউজকে জানান, দেশি জাতীয় গরুর চাহিদা বেশি। তাই পদ্মার চরের অধিকাংশ গরু পালনকারীরা দেশি গরু খামার করেছে। চরের আবহাওয়া দেশি গরু পালনের উপযোগি হওয়ায় পাশাপাশি আমিষের ঘাটতি পূরণে সহায়ক হচ্ছে।

স/শ