দেশব্যাপী শিশু ও নারী নির্যাতন বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশব্যাপি নারী ও শিশু নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, গুম ও গুজব বন্ধের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর আলুপট্টি মোড়ে ঘণ্টাব্যাপি এই কর্মসূচি পালিত হয়।

এসিডির প্রোজেক্ট অফিসার আহসান উল্লাহ সরকার রিপনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, এসিডি’র এ্যাডভোকেসি অফিসার শরিফুল ইসলাম, মনিটরিং ও ডকুমেন্টশন অফিসার রুহুল আমীন, প্রোগ্রাম অফিসার তুহিন ইসলাম ইসলাম, কৃষ্ণা রানী বিশ্বাস, কম্যুনিটি মোবিলাইজার নাজমা বেগম, জুলেখা খাতুন, জাহিদ আনোয়ার খান, জুয়েল প্রমুখ।

এসময় মানবন্ধনোত্তর সমাবেশে বক্তারা একটি গবেষণার চিত্র তুলে ধরে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে শিশু ধর্ষণের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েই চলেছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের জানুয়ারি থেকে জুন ২০১৯ সালের এক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ছয় মাসে সারাদেশে ৬৯২ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হন। তার মধ্যে ৩৯৩ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হতে হয়।

যার মধ্যে ছয় বছরের নিচে শিশু ছিল ৫১ জন, সাত থেকে ১২ বছরের নিচে শিশু ছিল ৮৩ জন, তের থেকে আঠার বছর ছিল ৯৭ জন এবং শিশু কিন্তু বয়স নির্ধারণ করা যায়নি ১৬২ জনের। রাজশাহী জেলায় পরিচালিত এসিডির জরিপে দেখা যায়, জানুয়ারি থেকে জুন ২০১৯ সালে রাজশাহী জেলায় ৬৯ জন নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে যার মধ্যে ৬ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন। হয়তো তার বাস্তব চিত্র আরো ভয়াবহ।

বক্তারা আরও বলেন, বিগত ১০০ বছরের অধিক সময়ে বিশ^ব্যাপী নারী আন্দোলন ব্যাপকতা লাভ করলেও বিশে^র নারী সমাজের মতো বাংলাদেশের নারীরা আজ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার। বর্তমানে বাংলাদেশে ৪৫ শতাংশ নারী কোনো না কোনোভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার। ফতোয়া-পাচার, যৌতুক, ধর্ষণ ও হত্যার মতো সন্ত্রাসের নির্মম বলি হচ্ছেন দেশের অসংখ্য নারী।

শুধু তাই নয়, লোক লজ্জার ভয়ে কারো সাথে শেয়ার ও করতে পারে তার সাথে ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কও ঘটনার কথা। তার কারণ দিন শেষে নারীকেই দোষারোপ করে তথা কথিত সমাজ ব্যবস্থা। এর ফলে দেশের অনেক নারী বেছে নিচ্ছে আত্মহননের পথ। আত্মহননের বোঝা সইতে না পেরে নিজ সন্তানদের বিষ খাইয়ে বা গায়ে আগুন ধরিয়ে নিজেও আত্মাহুতি দিচ্ছেন। পথে-ঘাটে ও কর্মস্থলে কোথাও নারী নিরাপদ বোধ করছেন না।