মঙ্গলবার , ১৮ অক্টোবর ২০১৬ | ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্সে বিশ্বব্যাংক

Paris
অক্টোবর ১৮, ২০১৬ ১১:৪২ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

যেকোনো দুর্নীতির বিষয়ে বিশ্বব্যাংক জিরো টলারেন্সে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সফররত বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়াং কিম।

 
মঙ্গলবার ( ১৮ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংকের ফিরে আসার কারণ জানতে চাইলে কিম বলেন, ‘আমরা সব সময় জিরো টলারেন্সে থাকি। আর যেকোনো প্রকল্পে সরকারকে স্বচ্ছতার পরিচয় দিতে হয়। আর এই কারণেই আমরা পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে ফিরে এসেছি। তবে যেকোনো বিষয়ে আমাদের আরো সতর্ক হতে হবে। কেন না বাংলাদেশে আমাদের আরো অনেক প্রকল্প চলছে। যদি অন্য কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে আমরা সেখান থেকেও ফিরে আসব।’ এছাড়া দুর্নীতির বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন কিম।

তিনি আরো বলেন, ‘দুর্নীতির প্রশ্নে আমাদের অবস্থান আগে যা ছিলো এখনো তাই আছে। কোনো ধরনের পরিবর্তন হয়নি আর হবেও না। এক্ষেত্রে বিশ্বের যে কোনো দেশের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতেও আমাদের এ নীতির বিষয়ে আমরা অটল থাকব।’

এছাড়া ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের যেকোনো প্রকল্পে দুর্নীতি হলে তখন বিশ্বব্যাংক কি করবে এমন প্রশ্নে জিম ইয়াং কিম বলেন, ‘আমাদের অনেক প্রকল্প বাংলাদেশে চলমান রয়েছে। তবে কোনো প্রকল্পে যদি দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায় তখন বিশ্বব্যাংক কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে। তবে বাংলাদেশের যেকোনো উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক পাশে রয়েছে এবং থাকবে।’

এই সংবাদ সম্মেলনে জলবায়ু মোকাবেলায় ২০০ কোটি ডলার ও শিশুপুষ্টি খাতে ১০০ কোটি ডলার ঋণ সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দেন কিম।

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হয়ে তার প্রথম সফর মন্তব্য করে কিম বলেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন খারাপ অবস্থার মধ্যে সময় পার করছে। কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আর বাংলাদেশের বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তিনি যথেষ্ট সন্তুষ্ট। শুধু তাই নয়, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক শক্তিশালী বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রাইভেট সেক্টরগুলোতে কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। কেননা এ সেক্টরে কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে প্রাইভেট সেক্টরগুলো এখন আর ব্যবসা করতে পারছে না। এছাড়া অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যা আছে। এ জন্য সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকতে চায় বিশ্বব্যাংক।‘

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সন, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর কুইমিয়াও ফ্যান ও বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহেরিন এ মাহবুব।

সূত্র: বাংলা নিউজ

সর্বশেষ - জাতীয়