দুর্নীতির কারণে বদিকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি: কাদের

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে সরকার শূন্য সহনশীল জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতির মামলায় আমাদের অনেক সাবেক এমপি কারাগারে। যে জন্য আমরা বদিকে(কক্সবাজারের সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদি) নমিনেশন দিইনি। তার স্ত্রীকে আমরা মনোনয়ন দিয়েছি। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার সিরিয়াস জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্নীতির মামলায় কিন্তু আমাদের এমপি কারাগারে। যে জন্য আমরা বদিকে নমিনেশন দিইনি। শাহজাদপুরে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে সাংবাদিক হত্যার অভিযোগ রয়েছে, তিনি জেলে আছে। অপরাধ যেই করুক, অপরাধের শাস্তি হবে। এ ব্যাপারে প্রাইম মিনিস্টারের টলারেন্স, একেবারে শূন্য সহনশীল ছিলেন।

নতুন মন্ত্রিসভায়ও দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ ব্যক্তিদের স্থান করে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশ চালাচ্ছেন এবং এবার নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের মধ্য দিয়ে তিনি এ বার্তাটাই আবার পৌঁছালেন যে, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের ব্যাপারে সরকার শতভাগ আন্তরিক। নট অনলি সিনসিয়ার, বাট সিরিয়াস। প্রধানমন্ত্রী তার নতুন মন্ত্রিসভাকে ঢেলে সাজিয়েছেন, সবকিছু মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন। ট্রান্সপারেন্ট ম্যানারে দেশটা তিনি চালাতে চান।

তিনটি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সিরিয়াস জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি, মাদক ও সুশাসন এই তিন বিষয়ে সরকার সিরিয়াস।তিনি বলেন, দুর্নীতির ও মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের সর্বাত্মক অভিযান চলবে, যে অভিযান শুরু হয়েছে এটা আরও জোরদার করা হবে।

মাদকের ভয়াবহতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মাদক সুনামির মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের এখনই জিরো টলারেন্স যদি আমরা প্রদর্শন করতে না পারি তাহলে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের তরুণ সমাজের জন্য এটা অশনিসংকেত হয়ে যাবে। কাজেই মাদকের ব্যাপারটা ফার্স্ট প্রায়োরিটি, মাদকের সঙ্গে করাপশনও আছে।

মাদক ও দুর্নীতির বিষয়ে দলের লোকদের বিরুদ্ধে অভিযান কেমন হবে- জানতে চাইল আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইন-অ্যাকশনটাও অনেক সময় অনেক অপকর্মের মূলে, বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে অনেক অঘটনই ঘটবে। যেমন ধরেন, আমাদের সুবর্ণচরে যে ঘটনাটা (গৃহবধূ ধর্ষণ) ঘটেছে, আমরা কিন্তু প্রাইম মিনিস্টারের নির্দেশে উপজেলার সেক্রেটারি, মেম্বারকে বহিষ্কার করেছি। বাকি যারা গ্রেফতার হয়েছে, দলের লোকও আছে।

তিনি বলেন, আমরা এবার সুশাসনের বিষয়ে অধিকতর মনোযোগ দেব। এসব বিবেচনায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউ ফেসেস নিয়ে তার কেবিনেট সাজিয়েছেন।

সুশাসনের প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ম্যাজিক্যাল ট্রান্সফরমেশন হবে না, এটা আশা করে লাভ নেই। আমাদের সমাজব্যবস্থা, আমরা যারা দেশ চালাই এখানে সমস্যা আছে। করাপশন ইটস অ্য ওয়ে অব লাইভ। সারা পৃথিবীর ইস্যু, বাংলাদেশ তো ব্যতিক্রম কিছু নয়। সূত্র: যুগান্তর