দুর্নীতির অভিযোগ সত্য নয়, আদালতকে খালেদা জিয়া

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার দুর্নীতির অভিযোগ সত্য নয় বলে আদালতকে জানালেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে এ কথা বলেন বিএনপির প্রধান।

 

খালেদা জিয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য আদালতে পড়ে শোনান বিচারক। এরপর আদালত খালেদা জিয়ার কাছে জানতে চান এসব অভিযোগ সঠিক কি না?  জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, এসব অভিযোগ সত্য নয়।

 

এরপর অভিযোগের বিষয়ে আদালতে কিছু লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন খালেদা জিয়া। এ পর্যায়ে আজকের কার্যক্রম মুলতবি করে পরবর্তী শুনানির জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। ওই দিন খালেদা জিয়া তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থনের লিখিত বক্তব্যের বাকি অংশ আদালতে উপস্থাপন করবেন।

 

আজ দুপুর পৌনে ১টা থেকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের ওপর শুনানিতে অংশ নিতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালতে পৌঁছান খালেদা জিয়া।

 

গত ১০ নভেম্বর আদালতে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা দুই সপ্তাহের সময় চান। পরে আদালত ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেন। কিন্তু ওই তারিখে তিনি হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময় আবেদন করলে আদালত ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

 

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।

 

জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

 

২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।

 

ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন—খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

সূত্র: এনটিভি