দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রত্যয় রাজশাহী মুক্ত দিবসে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দুর্নীতিবাজ-লুটেরাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪ টায় রাজশাহী মুক্ত দিবস উপলক্ষে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। এ সময় তিনজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা ও দুইজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মরনোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়।

রাজশাহী প্রেসক্লাব ও স্মৃতি পরিষদ সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রশান্ত কুমার সাহা।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, স্মৃতি পরিষদের সহঃ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল বাদল, এ্যাডভোকেট সিরাজী শওকত সালেহিন এলেন, সালাউদ্দীন মিন্টু, মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক ওয়ালিউর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কলম সৈনিক মো. মনিরুজ্জামান রব্বানী প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জন হলেও তখনো রাজশাহী শত্রুমুক্ত হয় নি। ১৮ ডিসেম্বর রাজশাহীকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করা হয়। তবে স্বাধীনতার ৪৯ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশে লুটেরা-দুর্নীতিবাজ ও পাকিস্তানপন্থীরা এখনো রয়েই গেছে। জনগণকে সাথে নিয়ে এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তবেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে বক্তারা সবাইকে কাধে কাধ রেখে কাজ করার আহবান জানান।

সমাবেশে শহীদ পরিবারের সদস্য ডা. রোকনুজ্জামান রিপন, স্মৃতি পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক দুখু, সদস্য শরিফ উদ্দীন, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশের রাজশাহী জেলা সভাপতি মো. কামরুজ্জামানসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এ দিন বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল বাদলের কন্যা শরিফা ইকবাল মেঘলার কণ্ঠে “সবকটি জানালা খুলে দাওনা” গান পরিবেশন ও শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়।

এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. শাহাদাৎ হোসেন রওশন, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল বাদলকে সম্মাননা দেয়া হয়। আর বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম ঠান্ডু ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক ওবায়দুর রহমানকে মরনোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ দু’জনের পক্ষে তাদের পরিবারের সদস্যরা সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।