দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি করেই শেষ: রব

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডারচাপায় নিহতের ঘটনায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ. স. ম. আবদুর রব। সরকারের ‘দায়িত্বহীনতায়’ প্রতিদিন দেশে প্রাণহানি ঘটছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে আ. স. ম. আবদুর রব বলেন, সরকারের দায়িত্বহীনতায় প্রতিদিন সড়ক ও অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানি ঘটছে। দুর্ঘটনার পর সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা কখনো কখনো নড়েচড়ে বসে, বা সামান্য পদক্ষেপ নেয়, আর তদন্ত কমিটি করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই বদলায় না।

বিআরটি প্রকল্পের অব্যবস্থাপনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সড়কের ওপর নির্মাণ কাজের সময় মানুষের নিরাপত্তা বিধান করা প্রধান কর্তব্য। কিন্তু বিআরটি প্রকল্পে এর কিছুই মানা হয়নি। নির্মাণ কাজ শুরু করার পর এখন পর্যন্ত গার্ডার ধসে চারটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপরও বিপুল ওজনের গার্ডার বসানোর কাজ চলছিল নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়াই।

জেএসডি সভাপতি আরও বলেন, নির্মাণ কাজে দুর্ঘটনা এড়াতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না এবং দুর্ঘটনা সামাল দেওয়ার প্রস্তুতিও থাকে না। দুর্ঘটনার পর উদ্ধারের কোনো ব্যবস্থা নেই। ব্যস্ততম সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখারও কোনো বিকল্প রাখা হয়নি।

বর্তমানে সরকারের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতা ভয়াবহ আকার নিচ্ছে উল্লেখ করে দুর্ঘটনা রোধে কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরেন আ. স. ম. আবদুর রব। সেগুলো হলো-

১) অবিলম্বে চলমান সব মেগা প্রকল্পসহ সরকারি-বেসরকারি অনুরূপ ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্পে যথাযথ জননিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

২) যেসব প্রকল্প জননিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়নি তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

৩) গাফিলতি ও অব্যবস্থাপনার জন্য মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৪) এ যাবত সংঘটিত অনুরূপ দুর্ঘটনায় গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে হবে।

সোমবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণকাজের জন্য ক্রেন দিয়ে গার্ডার ওপরে ওঠানোর সময় সেটি চলন্ত একটি প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে। এতে দুই শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়। হতাহতরা ঢাকায় একটি বৌভাতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ