দুর্গাপুর ব্রিজের ফুটপাত যেন দুর্ঘটনার ফাঁদ ঝুঁকি নিয়ে পথচারিদের চলাচল

গোলাম রসুল,দুর্গাপুর:
রাজশাহী দুর্গাপুরে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সংস্কারের অভাবে বেহাল দশা দেখা দিয়েছে দুর্গাপুর প্রাণ কেন্দ্র অবস্থিত ব্রিজটি। বর্তমানে ব্রিজটির ফুটপাতের একটি অংশ ভেঙে গেছে। এতে করে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারিরা। ব্রিজের ফুটপাত যেন এখন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। সচেতন ব্যক্তিরা এর প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিধির কাছে একাধিকবার মুখিক জানিয়েও এর কোনো সুরহা হয়নি।
জানা গেছে, দুর্গাপুর বাজারে প্রাণ কেন্দ্র হোজা নদীর উপরে পুরনো ব্রিজ ভেঙে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও পণ্যবাহী শত শত ট্রাক বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যাতায়াত করে থাকে। গত প্রায় দুই তিন আগে ব্রিজের ফুটপাতের প্রায় তিন ফিট যায়গার স্লাব ভেঙে গর্ত তৈরি হয়। আর এ গর্ত সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি এতিন মাসেও। অর্থচ এ পথ দিয়ে সরকারি বড় বড় কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতা দিব্বি চলাচল করেন।
মামুন নামের এক পথচারি বলেন, আমার চোখের সামনে একটি শিশু স্কুলে যাওয়ার পথে ব্রিজের ফুটপাতের ভাঙগা স্লাপের ভেতরে পড়ে যায়। এতে সেই শিশুটি হাতে ও পায়ে বেশ জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্কুলে রেখে আসি। এমন আহরহ দর্ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে সেখানে।
সিংগা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাক্তিবুল ইসলাম বলেন, ব্রিজের ফুটপাত ব্যবহার করে ছোট কোচি-কাচা বাচ্চারা স্কুলে যাওয়া আশা করে। আমার স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী সেই ভাঙা ব্রিজের ফুটপাত ব্যবহার করে অনেক ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আশা যাওয়া করে থাকে। অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকারও হতে হয়। সংস্কারের জন্য আমি উপজেলা আইসৃঙ্খলা মিটিংএও উপস্থিপন করেছি কিন্ত কোনই প্রতিকার হয়নি।
এবিষয়ে দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র সাজেদুর রহমান মিঠু বলেন, ব্রিজটি উপজেলা অধিনে। তাই এ বিষয়ে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারি প্রকৌশলী মাসুক ই-মোহাম্মদ বলেন, ব্রিজটি রোডসের তো রোডসের সাথে যোগাযোগ করেন। আপনাদের কিছু করার নেই এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, রোডস যদি কোন ভাবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে সে ক্ষেতে উপজেলা প্রশাসন দেখবে। এলজিডি থেকে কিছু করার নেই। তবে ওইটার পৌরসভা গুরুত্বটাই বেশি।