দুর্গাপুরে শিক্ষার্থীদের অজান্তেই অনলাইনে ভর্তি!

দুর্গাপুর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর দুর্গাপুর কাঁঠাল বাড়িয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অনৈতিক ভর্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠান হতে ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ন একাধিক শিক্ষার্থী দুর্গাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলা কাঁঠাল বাড়িয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ হতে ২০১৬-১৭ শিক্ষা বষের্ ওই প্রতিষ্ঠান হতে ২০১৮ সালে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়। উত্তীর্ন শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু অংশ ভালো ফলাফল করায় নিজ উপজেলা সহ জেলা শহরে বিভিন্ন স্বনামধন্য কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকে। গত ১৩ মে থেকে অনলাইনে ও এসএমএসএর মাধ্যমে ভর্তি কাজক্রম শুরু হয়। যা আগামী ২৪ মে পর্যন্ত ভর্তি বিদ্যমান থাকবে। ওই প্রতিষ্ঠান হতে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ন শিক্ষার্থী বিজয় ইসলাম,মারুফ মোল্লা ও বাদশা আলী অন্য কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য অনলাইনে অবেদন করতে গিয়ে দেখে পুর্বেই তাদের আবেদন করা হয়ে গেছে। পরে তারা ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জানতে পারে গোপনে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধানের ও সভাপতির সহায়তায় শিক্ষার্থীদের না জানিয়েই কাঁঠালবাড়িয়া কলেজে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।

এমতাবস্থায় তারা প্রতিষ্ঠান থেকে মার্কসীট উত্তোলন ও প্রতিবাদ করতে গেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের হুমকি প্রদান করেন। বর্তমানে ওই কলেজে ভর্তি অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আশা ভেস্তে যেতে বসেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী অভিভাবকদের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা ক্ষোভ ও উত্তেজনা।

অভিযোগ কারী শিক্ষার্থী বিজয়, মারুফ ও বাদশা জানায়, এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ন প্রায় অর্ধ্ব শত শিক্ষার্থী বর্তমানে বন্দি অবস্থায় পড়েছে। তারা ভালো রেজাল্ট করেও তাদের ইচ্ছেমত বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হতে পারছে না। অত্র প্রতিষ্ঠান হতে উর্ত্তীন্ন প্রায় সব শিক্ষার্থীদের গোপনে শিক্ষকদের মোবাইল নম্বর দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে শুধু কাঁঠালবাড়িয়া কলেজ উল্লেখ করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর কয়েকদিন আগে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এঘটনায় সুষ্ঠু সমাধানের জন্য ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কমনা করেছেন।

এ বিষয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানে সভাপতি ও অধ্যক্ষের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের কাউকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
স/শ