দুর্গাপুরে শহীদ মিনার ভেঙে আ.লীগের কাউন্সিলের প্রস্তুতির অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠিতব্য কাউন্সিল লোক সমাগমে ভোগান্তি এড়াতে শহীদ মিনার ভেঙে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচানার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুর্গাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।

বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সভাপতি হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম। একইসঙ্গে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও। আসন্ন কাউন্সিলে তিনি আবারো উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, কাউন্সিলে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মীর আগমন ঘটবে। উপস্থিত থাকবেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দও। বিপুল সংখ্যক জনসমাগম হওয়ায় তাদের চলাচল এবং স্থান সংকুলানের জন্য বিদ্যালয়ের মাঠে স্থাপনকৃত শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা অভিযোগ করেন, শহীদ মিনার ভাঙার অনুমতি নজরুল ইসলামই দিয়েছেন। একজন নেতা এবং নিজেই বীর মুক্তিযোদ্ধ হয়ে মুক্তিযদ্ধের শহীদদের স্মৃতিকে ভেঙে ফেলার অনুমতি তিনি কি করে দিতে পারেন?

এদিকে, শহীদ মিনার ভাঙ্গার কারণে উপজেলার সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এমনকি অনেকেই তার বীর মুক্তিযোদ্ধার উপাধি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন।

শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলার সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতার সম্পৃক্ততা নেই জানিয়ে দুর্গাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রকাশ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় শহীদ মিনারটি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। আর শহীদ মিনারটি সংস্কারেরও প্রয়োজনও ছিল। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে আমরা শহীদ মিনারটি নতুন জায়গায় নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযোগ ওঠা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বলেন, শহীদ মিনারটি স্কুল প্রাঙ্গনের বাইরে হওয়ায় অরক্ষিত ছিল। রাতের বেলা সেখানে বখাটেরা আড্ডা দিত। তাই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শহীদ মিনারটি স্কুলের ভিতরে নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। আর যা আমাদের মহান ভাষা সংগ্রামের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সেটা আমি কেন ভাঙ্গার নির্দেশ দিবো? আমি কি বোকা? কিছু কুচক্রী আমার ইমেজ ক্ষুণ্ন করার জন্য এমন মিথ্যা অভিযোগ করছে।

স/আর