দুর্গাপুরে বিতর্কিত ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দিলো পৌর ও ইউনিয়ন কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুর্গাপুরে অবৈধ ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনুমোদন দিলো পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি। ফলে এনিয়ে দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা।

এ ঘটনায় দুর্গাপুর বাজারের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ছাত্রলীগ নেতা শাকিল রানা ও মেহেদী হাসানসহ একাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, গত ২০১০ সালে জেলা কমিটি দুর্গাপুর দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটি ঘোষণা করে। জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন নেতাকর্মীরা দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন ও শরিফুজ্জামান শরিফকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে। নিয়মানুযায়ী আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ কাল ৩মাস হলেও ওই কমিটির দায়িত্বে থাকা সভাপতি ও সম্পাদক ছাড়া দীর্ঘ ৬বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কেউই ঠাই পায়নি ওই কমিটিতে। এমনকি ওই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণাও করেনি জেলা কমিটি। ফলে বহাল তবিয়তে তারা তাদের আসন ধরে রেখেছেন।

গত তিন বছর আগে পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষে গোপনে দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ তাদের পছন্দের একাংশের ছাত্রলীগ কর্মীর তালিকা নিয়ে পূর্বের জেলা ছাত্রলীগ কমিটির কাছে গিয়েও ব্যার্থ হয়।

আহবায়ক কমিটি মূল দায়িত্ব হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য সম্মেলন পরিবেশ তৈরি করা। কিন্তু দীর্ঘ ৭বছরেও ওই আহবায়ক কমিটির সম্মেলন করতে পারেনি অথচ গত বুধবার রাতে দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের অবৈধ সভাপতি আলমগীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ স্বাক্ষরিত দুর্গাপুর পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেয়। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিনের দৃষ্টি কামনা করেছেন দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মীরা।

তারা আরো জানান, বর্তমানে দুর্গাপুর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি যাকে বানানো হয়েছে সে গোপনে কয়েক মাস পুর্বে বিয়ে করেছে। এছাড়াও তার বাবা একজন সক্রিয় বিএনপির কর্মী এবং বিএনপির আমলে তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে গঠিত স্টার গ্রুপের সদস্য ছিলেন।
স/শ