দুর্গাপুরে তুলা ও খড়ের দোকানে আগুন ৬ লাখ টাকার ক্ষতি

দুর্গাপুর প্রতিনিধি:
রাজশাহী দুর্গাপুরে তুলার গোডাউন, খড়ের দোকান ও বাসা বাড়িতে আগুন লেগে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি ঘটনা ঘটেছে।
(৬ জুন) মঙ্গলবার দুপুর ২টায় রাজশাহী দুর্গাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে প্রভাষক আমিনুল হক টুলুর মার্কেটে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্গাপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি ইউনিট প্রায় ঘন্টা ব্যাপী চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাদের সাথে আগুন নেভাতে স্থানীয়রাও সহযোগিতা করেন। সিগারেটের আগুন থেকে এই আগুনের সূত্রপাত বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা। তবে ক্ষাতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে কেউ বলছেন এটি একটি পরিকল্পিত আগুন লাগানোর ঘটনা হতে পারে।


ক্ষতিগ্রস্ত তুলার ব্যবসায়ী মাহাবুর রহমান জানান, দুপুরে তুলার গোডাউন থেকে তিনি বাড়ি যান। পাশে গরুর খড় বিক্রেতা জাহাঙ্গীর সেও বাড়ি চলে যায়। এই সময়ের মধ্যেই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা গরুর (খড়) আউড়ের দোকানে আগুন ও ধূয়া দেখতে পায়। পরে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকি।
এরই মধ্যে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে তারাও ঘটনান্থলে এসে আগুন নেভাতে থাকে। আগুন নেভানোর এক পর্যায়ে পাশের তুলার গোডাউন,ও দুইটি টিনসেটের বাসা বাড়ি আগুনে পুড়ে যায়। এরপর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে গরুর খড় বিক্রেতা জাহাঙ্গীরের খড় কাটা মেশিন ও আউড় পুড়ে প্রায় ২লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি। এছাড়াও তুলার গোডাউন মালিক মাহাবুর রহমানের ৩০ বস্তা তুলা ও ব্যবহিত টিভিএস আরটিআর মডেলের একটি মোটরসাইকেল পুড়ে যায়।

এতে তার ২লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তার। এছাড়াও এর পাশে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুর রশিদ ও আয়দা বেগমের ভাড়া বাড়ি পুড়ে যায়। এতে ঘরের ভেতরে থাকা আসবাবপত্র ও প্রয়োজনিয় কাগজপত্র পুড়ে যায়। এতে তাদের ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এবিষয়ে দুর্গাপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার আবুল খায়ের জানান, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছাই। প্রায় ঘণ্টা ব্যাপি চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। খড় ও তুলার আগুনের কারনে আমাদের আগুন নেভাতে একটু বেগ পেতে হয়েছে।
আগুনের সূত্রপাত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি সিগারেটের আগুন থেকেই এই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।