দুর্গাপুরে গড়ে উঠেছে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ সার ও কীটনাশকের দোকান

দুর্গাপুর প্রতিনিধি:
রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে সার ও কীটনাশক বিক্রয়ের দোকান। এদিকে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের তেমন ভুমিকা না থাকায় মুলত এভাবে বিক্রি করছে সার ও কীটনাশক। ফলে বৈধ  লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীদের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা ক্ষোভ।

 
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন আনাচে কানাচে লাইনেন্সবিহীন প্রায় ২শতাধিক অবৈধ সারের দোকানে বিক্রি হচ্ছে এসব সার ও ঔষধ। এগুলো হলো উপজেলার কুশাডাঙ্গা এলাকায় মফিজ উদ্দিন,আমগ্রাম এলাকার আরিফ,জামাল উদ্দিন, তরিপতপুর মোড়ে মা এন্টার প্রাইজ,এতিবুর রহমান, শ্যামপুর বউ বাজারের আফাজ আলী, বাক্কার আলী, শিবপুর গ্রামে মাহাবুব, বেলঘরিয়া বাজারের বজলুর রহমান,আবুল কালাম, যুগিশো এলাকার সামসুল ইসলাম, সিদ্দিক, কিশোরপুর এলাকার শাহিন,নওপাড়া স্কুল বাজার এলাকায় বজলু,এনামুল মোস্তাক,পুরানতাহেরপুর এলাকায় রফিকুল ইসলাম মোহাম্মাদ আলী, আলীপুর বাজারের সাইদুল রহমান,আব্দুল কাদের ,ইসাহাক আলী, বেলাল হোসেন, জালাল উদ্দিন, পানানগর বাজারে সোহেল, বাবু, কুদ্দুস ও আলালের দোকানে এসব সার ও ঔষধ বিক্রি করা হচ্ছে।

 
এছাড়াও উপজেলার উজালখলসী বাজার ,পালি বাজার, আমগাছি বাজার, সাহবাসপুর বাজার, কাশেমপুর বাজার ,কানপাড়া বাজার, পালশা নতুন হাট,কালিগঞ্জ বাজার,দাওকান্দি বাজার,হরিরামপুর বাজার, গগণবাড়িয়া বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছে অনুমোদনবিহীন এসব সার ও বালাইনাশক ঔষধ।

 
উপজেলার বেলঘরিয়া বাজারে অবস্থিত লাইসেন্সধারি সার ও ঔষধ ব্যবসায়ী নিবারন চন্দ্র সিল্কসিটি নিউজকে জানান, কৃষি অফিস থেকে টাকা খরচ করে লাইসেন্স নিয়ে তিনি  বৈধ ভাবে ব্যবসা করে আসছেন। অথচ এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে রাজস্ব ফাকি দিয়ে কোনপ্রকার লাইসেন্স ছাড়াই দেদারছে ব্যবসা করে যাচ্ছে। এতে করে তাদের মত শতশত লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সস্মুক্ষীন হচ্ছে।

 
উপজেলার তরিপতপুর মোড়ে অবস্থিত আয়নাল হক নামের এক সার ব্যবসায়ী জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ৩০ হাজার টাকা জমার মাধ্যমে বৈধ লাইসেন্স দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন তিনি। অথচ অনেকে লাইনেন্স না নিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। অতি দ্রুত লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বৈধ ব্যবসায়ীরা।

 
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. বিমল কুমার প্রামানিক সিল্কসিটি নিউজকে জানান, লাইসেন্সবিহীন সার বিক্রয় করা অবৈধ, কিন্তু কৃষকদের সুবিধার্থের কথা চিন্তা করে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব হয়নি।

 
তিনি আরো জানান,উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সার বিক্রয়ের জন্য প্রত্যেকে ৩০হাজার টাকা করে ৭২জন ব্যবসায়ী লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিলো। এর মধ্যে প্রায় ৩০জন ব্যবসায়ীরা জমাকৃত টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে।
স/শ