দুর্গাপুরে গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের, নিরাপত্তাহীনতায় ভিকটিমের পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর দুর্গাপুরে ইউপি সদস্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা করায় অভিযুক্তরা হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভিকটিমের পরিবার। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন ভিটটিমের পরিবার।
মামলাসূত্র ও ভিকটিমের বক্তব্যে জানা যায়, দুর্গাপুর উপজেলার কিশমত হোজা গ্রামের এক গৃহবধূকে একই গ্রামের শাহান উদ্দিনের ছেলে মাড়িয়া ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান দীর্ঘদিন থেকে অসামাজিক কাজের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি গৃহবধূ তার স্বামীকে জানায়। গৃহবধূর স্বামী এমন ঘটনায় গ্রামের মাতব্বরদের কাছে বিচারপ্রার্থী হয়। কিন্তু আসামি ইউপি সদস্য প্রভাবশালী হওয়ায় উল্টো গৃহবধূর পরিবারকে একঘরে করার হুমকি দেয় মাতব্বররা। এর মাঝে গত ২৭ অক্টোবর রাত্রে গৃহবধূর স্বামী বাড়ীতে না থাকার সুযোগে একই গ্রামের ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান ও তার দুই সহযোগী বদির উদ্দিনের ছেলে আ. মালেক (৩৫) ও আ. মজিদের ছেলে বাবর আলী গৃহবধূর বাড়ীতে প্রবেশ করে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে আসামীরা গৃহবধূর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন ২৮ অক্টোবর ভিকটিম দুর্গাপুর থানায় বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ও আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয় থানা পুলিশ।
গৃহবধূ ২৮ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে আসামী করে রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর আদালতে গত ৫ নভেম্বর মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১২৮পি/২০১৮।

ভিকটিমের স্বামী ওবায়দুল হক অভিযোগ করেন, মামলা করার পর থেকে আসামীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি অব্যাহত রেখেছে। আজ ১৪ নভেম্বর আসামী ইউপি সদস্য মোটর সাইকেল নিয়ে আমার বাড়ীতে এসে মামলা তুলে নিতে বলে অন্যথায় পুরো পরিবারকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এমতাবস্থায় পুরো পরিবার চরম নিরাপত্তহীনতায় রয়েছেন বলে জানান ভিকটিম ও তার স্বামী।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাইদুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ. মোতালেবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আদালত থেকে মামলা এখনো থানায় এসে পৌছায়নি। মামলা থানায় আসলে তদন্তপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

স/শা