দুর্গাপুরে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে নষ্ট কৃষকের ফসল

দুর্গাপুর প্রতিনিধি :
রাজশাহী দুর্গাপুরে হঠাৎ করে ১০ মিনিটের ঝোড়ো হাওয়া ও কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় ফসলের অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে পেঁয়াজের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি উঠতি ফসল ভুট্টা, মসুর, গম , আম ও লিচুর মুকুলের ক্ষতি হয়েছে।

জানা গেছে, গত সোমবার রাত ৮টার দিকে আকাশে হাঠৎ করে মেঘ জমে যায়। এরপর শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া আর বৃষ্টি। সাথে কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টি। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলতে থাকে এ ঝাড় ও শিলাবৃষ্টি। এতে অনেক জমিতে ভেঙে পড়েছে ভুট্টা গাছ। নুয়ে পড়েছে গম ও পেঁয়াজের গাছ। নষ্ট হয়েছে মসুর ও সরিষা খেত।

দুর্গাপুরে পৌর এলাকার বহরমপুর গ্রাম ও উপজেলার কিসমত গণকৈড় ইউনিয়ন এলাকার উজালখলসী গ্রামে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে পড়ে গেছে অনেক এলাকার পানবরজও। এছাড়াও উপজেলার দাওকান্দি,আমগাছি, চৌবাড়িয়া, পানানগর, হোজাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।

উপজেলার উজালখলসী গ্রামের শাহ আলম বলেন, তার এলাকায় মাত্র ৫ মনিটের ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে পেঁয়াজের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে এঝাড়াও গমের গাছ ও আমের মুকুলের ক্ষতি হয়েছে।

পৌর এলাকার বহরমপুর গ্রামের আলামিন বলেন, সোমবার সন্ধার পরে হঠাৎ করে ঝড় শুরু হয়। এর পরে সকালে মাঠে গিয়ে দেখি আমার পেঁয়াজ ক্ষেতের পেঁয়াজ গাছগুলো পুরো নুয়ে পড়েছে। সবে মাত্র পেঁয়াজগুলো নামতে শুরু করেছিলো। এতে তার অনেক টাকা লোকশান গুনতে হবে।

একই গ্রামের জালে আলম বলেন। তিনি প্রায় ২ লাখ টাকার আমের বাগান নিয়েছিলেন। সবে মাত্র মুকুল এসেছে। সোমবারের ঝড়ে আমগাছের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রায় মুকুলগুলো ঝড়ে ঝরে পড়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কুন্তলা ঘোষ বলেন, এ ঝড়ে কৃষকের তেমন ক্ষতি হবে না। যে হেতু ঝড়ের পরের দিনে আবহাওয়া ভালো হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। ক্ষতির পরিমাণ হিসাব-নিকাশ করে পরে জানানো হবে।