দুর্গাপুর প্রতিনিধি:
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে গেছে উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন ও প্রচার অভিযান। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশনের এমন বার্তা পাওয়ার পর থেকে দুর্গাপুর উপজেলাতে বইতে শুরু করেছে ভোটের আমেজ। আর ইতোমধ্যে পাল্লা দিয়ে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। এদিকে দলীয় প্রার্থী হতে আওয়ামীলীগ লবিং গ্রুপিং শুরু করলেও দেখা নেই বিএনপির।
এবারো এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসারে উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে আগামী মার্চ মাসে। তফসীল ঘোষণার অপেক্ষায় এখন নেতারা। এর পাশাপাশি বসে নেই ভাইস চেয়ারম্যানের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। দলের প্রার্থী হতে জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন দলের নেতারা। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে ইতোমধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন ওই সকল প্রার্থীরা। তবে প্রার্থীরা কাছের নোতকর্মীদের নিয়ে ভোটযুদ্ধের বৈতরনী পারের পরিকল্পনা করে চলেছেন। বর্তমানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই প্রার্থীতা জানান দিচ্ছেন তারা।
এবার দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে উভয় দলের হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এমন প্রার্থীর সংখ্যাও একাধিক। বিশেষ করে গত ৫ বছরে যারা বিতর্কের বাইরে থেকেছেন, নিজ এলাকায় অবস্থান করেন এবং কর্মীদের সাথে ভাল ব্যবহার করেছেন তাদেরকেই প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান ভোটাররা। আর জেলার নেতারাও বলেছেন, ক্লিন ইমেজ, তৃণমুলের মতামত এবং বিদ্রোহী প্রার্থী যেন কেউ না হতে পারে সে বিষয়গুলো বিবেচনা করেই এবার উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া হবে।
দুুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ব্যানারে প্রার্থী হতে চান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের সহসভাপতি আব্দুল মজিদ সরদার। এছাড়াও অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে।
উপজেলা আ.লীগের কয়েকজন নেতা জানান, বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান যিনি আছেন তিনি দলের নেতাকর্মীদের কখনো মুল্যায়ণ করেননি। এমন জনবিচ্ছিন্ন নেতাকে আবার মনোনয়ন দেয়া হলে দলের কোন নেতাকর্মীকে হারিকেন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফলে চেয়ারম্যান পদটি হারাবে নিশ্চিন্তে আওয়ামীলীগ।
এদিকে নেতাকর্মীরা দাবি করে বলেন, বর্তমান পৌর সভার মেয়র ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তৃনমুল নেতাকর্মীদের প্রাণ। তাকে উপজেলা নির্বাচন পদে আওয়ামীলীগের মনোনীয়ত চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান । তাকে দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ধরে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন নেতারা।
এদিকে প্রার্থী মনোনয়নে দলীয় সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দেবেন বলে উভয় দলের নীতি নির্ধারনী মহল জানিয়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যদি কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হাবে বলে দলের হাই কমান্ড সূত্রে জানা গেছে।
স/শা