দুর্গাপুরের ভাঙা রাস্তায় উঠছে মাছ, ভোগান্তি চরমে (ভিডিও)

রাজশাহীর হরিয়ান থেকে দুর্গাপুরের দূরুত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এই রাস্তাটির এখন ভয়ঙ্কর খানা-খন্দকে ভর্তি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমাণের বিটুমিন ব্যবহার করার কারণে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে পুরো রাস্তাটি। পরিস্থিতি এমন যে, রাস্তাটি ব্যবহাকারী তিনটি উপজেলারর প্রায় দেড় লাখ জনসাধারণকে এখন ব্যবহার করতে হচ্ছে বিকল্প পথ। এতে করেও এলাকাবাসীকে যেমন বাড়তি সময় ব্যয় করতে হচ্ছে, তেমনি বাড়তি খরচও হচ্ছে। এর মধ্যেও বাধ্য হয়ে যেসব যানবাহন চলাচল করছে, সেগুলো দুর্ঘটানর কবলে পড়ছে প্রতিনিয়ত। আর এ নিয়ে সাধারণ দুর্ভোগের শিকার জনসাধারণের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এই রাস্তাটিতে এখন বৃষ্টির কাদা-পানি জমে হাঁটু পর্যন্ত ডুবে যাচ্ছে। আর সেই পানিতে ধরা পড়ছে এখন মাছ। রুই-কাতলা মাছও ধরা পড়ছে। খানা-খন্দকে ভরে থাকা রাস্তায় প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রায় বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে সাধারণ মানুষকে। একে বারে অগত্য ছাড়া কোনো যান চলাচল করছে না। করলেো ঘটছে দুর্ঘটনা।

রাজশাহীর হরিয়ান থেকে দুর্গাপুর প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তাটির খানা-খন্দকে ভরে গেছে। কোথাও কোথাও রাস্তার একাংশ ভেঙে পাশে পুকুরের মধ্যে চলে গেছে। আবার কোথাও বড় বড় গর্তে সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও এবার গোটা বর্ষায় হাঁটপানি জমে আছে। এর মধ্যে প্রতিদিন লাখো মানুুষকে চলাচল করতে হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। রাস্তাটিতে হরিয়ান থেকে চৌপুখরিয়া পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারিরা।

দুর্গাপুরের গৌরিহার গ্রামের আবুল কালাম বলেন, ‘বাধ্য হয়ে পারিলা, ঝাললুকা বা হাড়িয়াপাড়া হয়ে ৭-৮ কিলোমিটচার ঘুরে অধিকাংশ যানবাহন চলাচল করছে। কিন্তু তা পরেও একেবারেই যেসব এলাকায় বিকল্প রাস্তা নাই, সেসব যানবাহণকে যেতেই হচ্ছে এই ভয়াবহ রাস্তা দিয়ে। তাতে করে প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বার বার সংস্কার করা হয়েছে এর আগে। কিন্তু নিম্নমাণের বিটুমিন ব্যবহার করার কারণে সংস্কারকাজ দীর্ঘমেয়াদি হয়নি। কাজ শেষ না হতেই আবার ভাঙ্গা শুরু হয়েছে। ফলে বছর না যেতেই যেকার সেই অবস্থায় পরিণত হয়েছে।’

এই রাস্তায় চলাচলকারী জেলার চৌপুখরিয়া গ্রামের আবুল কালাম বলেন, ‘রাস্তাটি ভয়ঙ্কর হয়ে আছে। যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করায় দায় হয়ে পড়েছে। তার পরেও মানুষ জীবনের ঝূঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হয়ে। অথচ কিছুদন আগেও সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু এখন একেবারেই চলাচলেল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে নিম্নমাণের বিটুমিন বা পরিমাণে বিটুমিন কম দেওয়ার কারণে।’

এ রাস্তা সংস্কার নিয়ে জানতে চাইলে রাজশাহীর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সানিউল হক বলেন, `রাস্তা সংস্কারের জন্য দ্রুতই টেন্ডারকাজ শেষ করা হবে। আশা করছি আমরা কাজও দ্রুত শুরু করতে পারব।’

ভিডিও: