দুগ্ধ খামারে দিনে ক্ষতি ৫৭ কোটি টাকা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বর্তমানে দেশের বার্ষিক চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ দুধ সরবরাহ করছেন দেশীয় খামারিরা। তবে দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বিপাকে পড়েছেন তারা। খামারিরা জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা দুধ বিক্রি করতে পারছেন না। এতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১২০ থেকে ১৫০ লাখ লিটার দুধ অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৫৭ কোটি টাকা। মাসিক হিসাবে যা প্রায় এক হাজার ৭১০ কোটি টাকা। গতকাল বুধবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন খামারিরা।

ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ইমরান হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে দুধ প্রসেসর কোম্পানিগুলো প্রতিদিন খামারিদের কাছ থেকে প্রায় ১৩ লাখ ৫৯ হাজার লিটার দুধ সংগ্রহ করে, যা দেশের মোট উৎপাদনের মাত্র ৫ শতাংশ। অবশিষ্ট ২ কোটি ২৮ লাখ ৩৬ হাজার লিটার দুধ খামারিরা বিক্রি করেন বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে ও বাসাবাড়িতে। দেশের বর্তমানে পরিস্থিতিতে দোকানপাট বন্ধ ও জনজীবনে অস্থিরতার কারণে দুধ বিক্রি ব্যাহত হচ্ছে। অনেক জায়াগায় ১০-১২ টাকা দরেও দুধ বিক্রি করতে পারছেন না খামারিরা। এতে প্রান্তিকসহ সাধারণ খামারিরাও বর্তমানে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন।

এমন অবস্থায় সরকার ও বড় কোম্পানিগুলোকে খামারিদের সহযোগিতার আহ্বান জানান ইমরান হোসেন। তিনি বলেন, ‘দেশের তিনটি বড় কোম্পানি প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ লিটার দুধ সংগ্রহ করে। এসব কোম্পানির গুড়া দুধ তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ১০ থেকে ১২টি কোম্পানির রয়েছে দুগ্ধজাত পণ্য তৈরির সক্ষমতা। তাই দুগ্ধ শিল্প রক্ষায় সরকার ও কোম্পানিগুলো খামারিদের সহযোগিতায় এগিয়ে না এলে ৫০ শতাংশের বেশি খামার বন্ধ হয়ে যাবে। এতে অর্ধকোটিরও বেশি খামারি বেকার হয়ে পড়বেন।