দুই মাসে সর্বনিম্নে ডলারের দাম, চাঙা ইউরো-ইয়েন

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

বিশ্ব ও মার্কিন অর্থনীতিকে স্বস্তি দিয়ে খানিকটা কমেছে ডলারের মান। বৈশ্বিক মুদ্রাগুলোর মান পর্যবেক্ষণকারী সূচক কারেন্সি বিড প্রাইসের (সিবিপি) তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ডলারের মান কমেছে দশমিক ৬ শতাংশ।

অন্যদিকে ডলারের বিপরীতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুদ্রা ইউরোর মান খানিকটা বেড়েছে এদিন। কারেন্সি বিড প্রাইসের চার্ট বলছে, বৃহস্পতিবার ইউরোর মান বেড়েছে দশমিক ৬৭ শতাংশ। এছাড়া জাপানের মুদ্রা ইয়েন, অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রা অজি ডলারও আছে এই তালিকায়।

আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজার বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ডলার যে মানে পৌঁছেছে, তা গত দু’মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রধান বাহন মার্কিন মুদ্রা ডলার। জ্বালানি, স্বর্ণের বাজারসহ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রায় সম্পূর্ণ ডলারনির্ভর। কিন্তু গত বছর জুন মাস থেকে ডলারের মান বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাব পড়া শুরু করে বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও। ডলারের মান বাড়ার কারণে নিজেদের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত স্থিতিশীল রাখতে জ্বালানি তেল কেনা কমিয়ে দেয় অধিকাংশ দেশ। ফলে জ্বালানিতে তেলের বাজারে মন্দাভাব শুরু হয়।

সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে মূল্যস্ফীতি। এশিয়ার স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর পাশপাশিষ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপেও লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে খাদ্য, জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম। কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই ফেব্রুয়ারি-মার্চে সাধারণ ভোক্তাপর্যায়ে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছিল ৬ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা সূচকের তথ্য অনুসারে, বৃহস্পতিবার ডলারের মান ছিল ১০০ দশমিক ৮৬, যা গত ২ এপ্রিল পর সর্বনিম্ন। একই দিন ডলারের বিপরীতে ইউরোর মান বেড়েছে ১ দশমিক ১০ পয়েন্ট, যা গত ১ এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ।

ইউরোর পাশাপাশি জাপানের মুদ্রা ইয়েন এবং অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রা অজি ডলারের বিপরীতেও মান কমেছে ডলারের। সিবিপি সূচক অনুযায়ী, এই দুই মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মান হ্রাসের হার যথাক্রমে বিপরীতে দশমিক ৮ শতাংশ এবং ১ দশমিক ০৫ শতাংশ।

কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মুদ্রার মান পর্যবেক্ষণ সংস্থা ফোরেক্সলাইভের শীর্ষ বিশ্লেষক অ্যাডাম বাটন বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা সম্ভবত শিগগিরই নিম্নমূল্যস্ফীতির বিশ্বে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। বাজার সেই বার্তাই দিচ্ছে।’