দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা গোপনে অভিযোগপত্র দাখিল!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

মাদারীপুরে দুই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে হত্যার ১৫ মাস পর গোপনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

আর প্রধান অভিযুক্তদের বাদ দিয়ে শুধু আত্মহত্যার কথা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করায় তা প্রত্যাহার করেছে নিহত স্কুলছাত্রী সুমাইয়া ও হ্যাপীর পরিবার।

 

এদিকে, বাদীপক্ষের আইনজীবী ইয়াদ মোর্শেদ সজলের দাবি, আসামিদের রক্ষা করতে কৌশলে তাদের নাম অভিযোগপত্রে বাদ দেওয়া হয়েছে।

 

অন্যদিকে, ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলামত না পাওয়ায় বিষপানে আত্মহত্যায় দুই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান মামলার চতুর্থ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম।

 

২০১৫ সালের ১৩ আগস্ট স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাদারীপুরের মস্তফাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া ও হ্যাপীকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে ধর্ষণ শেষে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। এ ঘটনায় থানায় ও আদালতে আলাদা দুটি মামলা হলে অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব পায় মাদারীপুর সিআইডি পুলিশ। দীর্ঘ ১৫ মাস তদন্ত শেষে বাদীপক্ষকে না জানিয়ে গোপনে গত ৭ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

মামলার অভিযোগপত্র থেকে আসামি শিপন, রফিকুলের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। দুই স্কুলছাত্রীর পরিবার এতে নারাজি আবেদন করেছে।

 

নিহত স্কুলছাত্রী হ্যাপীর মা শাহিদা বেগম বলেন, আসামিপক্ষের প্ররোচনায় তদন্ত কর্মকর্তা এ অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, তাঁদের না জানিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

 

দুবার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত না পাওয়ায় সুমাইয়া ও হ্যাপী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম।

 

দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করলেন সুমাইয়া-হ্যাপীর সহকারী প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান।

 

সূত্র: এনটিভি