সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
দিনাজপুরের খানসামায় কাল বৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ঘরবাড়িসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাত্র কয়েক মিনিটের কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছেন, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ঘরবাড়ি ও গাছপালা ও বিভিন্ন ফসল।
বুধবার (১৯ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টায় থেকে দমকা ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির সাথে শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডব। কয়েক মিনিট স্থায়ী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়েছে কাঁচা ঘরবাড়ি, উড়ে গেছে ঘরের টিন, ভেঙে গেছে শত শত গাছপালা। কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে অনেক আম, কাঁঠাল, লিচুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ভেঙে মাটিতে মিশে গেছে। তাতে ফসলের ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার ছাতিয়ান গড়, আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের সূর্বণখুলীর মহির পাড়া, গোয়ালডিহী ইউনিয়নের বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, জীবনে প্রথম এমন কালবৈশাখী ঝড় দেখলো খানসামাবাসি। মাত্র কয়েক মিনিটের কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছেন আমাদের ঘরবাড়ি ও গাছপালা ও বিভিন্ন ফসল। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কিভাবে পূরণ করবো আমরা? প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে সরকারের সহযোগীতা কামনা করছি আমরা।
এ বিষয়ে খানসামা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম জানান,উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় গাছ ভেঙ্গে গেছে সেগুলো আমরা দিবাগত রাত ১টা থেকেই সরিয়ে মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা করতেছি। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা নাগাত পুরো রাস্তার ভেঙে যাওয়া গাছ সরানো হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, গোটা উপজেলায় তমুল ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। এ ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে উপজেলার সবজি চাষীরা ও বাগান ব্যবসায়ীরা৷ তবে এছাড়াও কোন ফসলের কি ক্ষতি হয়েছে তা জানতে মাঠে কাজ করছি আমরা। পরবর্তীতে জানাতে পারবো।
এ বিষয়ে খানসামা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাশিদা আক্তার বলেন,গতকালকের ঝড়ের তান্ডবে আমাদের উপজেলা পরিষদের গাছ ভেঙে গেছে।এ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অনেকের টিনের চালা উড়ে গেছে। অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অবগত করেছি যেন তারা তাদের ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা তৈরি সরকারিভাবে তাদেরকে সহায়তা প্রদান করতে।
এস/আই
