দিনাজপুরের খানসামায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন

দিনাজপুর প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে দেড় একর জমির ওপর নির্মিত খানসামা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সকালে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেন্টেনিয়াল টিটিসিসহ ২৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশিদা আক্তার, এসিল্যান্ড মারুফ হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা আহমেদ শাহ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীন, থানা অফিসার ইনচার্জ চিত্ত রঞ্জন রায়, আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, খানসামা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিকান্দার আলী কাবুল, আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও রপ্তানির উদ্দেশ্যে ১৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত খানসামা টিটিসি ভবন পরিদর্শন করেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি।

খানসামা উপজেলায় সদরে অবস্থিত টিটিসি প্রকল্পে চারতলা দুটি ও তিনতলা একটি ভবনসহ বিভিন্ন নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ঘিরে খানসামা উপজেলার তরুণ-তরুণীসহ পাশ্ববর্তী উপজেলার ও বিভিন্ন স্থানের তরুণ-তরুণীরা স্বপ্ন দেখছেন।

টিটিসি সূত্র জানায়, কেন্দ্রে বর্তমানে কম্পিউটার, ইলেকট্রিক্যাল, আর্কিটেকচার, মেশিন টুলস অপারেশন, ইংরেজি ভাষা শিক্ষাসহ ছয়টি কোর্স চালু রয়েছে। ছয় মাস মেয়াদি কোর্সে ২জন প্রশিক্ষণার্থী রয়েছে ছয়টি কোর্সে। টিটিসিতে বছরে ১০০০ জন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে।

টিটিসি অধ্যক্ষ ওয়ালিউর রহমান জানান, প্রশিক্ষণ নিয়ে যাতে দেশকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে রুপান্তরিত হয়ে দেশ বিদেশে কর্মসংস্থানে নিয়োজিত হতে পারবে প্রশিক্ষণার্থীরা। মূলত মানব সম্পন্ন উন্নয়নে টিটিসি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরো বলেন, ‘বিদেশে যাওয়ার জন্য অনেক ধরনের ট্রেনিং রয়েছে। টিটিসিতে যেকোনো একটি বিষয়ের ওপর কোর্স করলে বিদেশে গিয়ে কাজ করতে সুবিধা হবে। এছাড়া সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় গেলে প্রতারিত হওয়ার সুযোগও কম থাকে।’

উল্লেখ্য যে, নির্মাণাধীন ৪০টি টিটিসির মধ্যে ২৪ উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১৬টি টিটিসির কাজ এখনো শেষ হয়নি। তবে অতি দ্রুতই সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)।

টিটিসির তিনটি ভবনের একটি একাডেমিক, একটি ডরমিটরি, একটি প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপালের কোয়ার্টার ও ছাত্রী হোস্টেল। একাডেমিক ভবনটিতে ক্লাস হবে। ডরমিটরিতে থাকবেন ছাত্ররা। প্রিন্সিপালদের আবাসিক কোয়ার্টারের ওপরে ছাত্রীদের আবাসন ব্যবস্থা থাকবে।

এস/আই