দায়সারা মামলার তদন্তেও অগ্রগতি নেই

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

তেজগাঁওয়ের সরকারি খাদ্যগুদাম (সিএসডি) থেকে পাচার হওয়া ২১৫ টন খাদ্যশস্য উদ্ধারের ঘটনায় র‌্যাবের দায়ের করা মামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। মামলা দায়েরের পাঁচ দিন পরও কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

মঙ্গলবার রাতে পাচারের সঙ্গে জড়িত সিএসডির প্রত্যাহার হওয়া ম্যানেজার হুমায়ুন কবির ও গুদাম ইনচার্জ ইউনুস আলীকে বাদ দিয়ে ২৩ জনের বিরুদ্ধে দায়সারা মামলা করে র‌্যাব। র‌্যাবের মামলায় ১১ আড়তদার, সিএসডির ছয়জন কর্মী, চারজন সিবিএ নেতা (শ্রমিক) ও দুই ডিলারকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি আবদুর রশিদ   বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। পাচারের সঙ্গে জড়িত সবার নাম মামলায় আসেনি। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদেরও গ্রেফতার করছে না পুলিশ। এমনকি মামলার তদন্তে পুলিশের তেমন আগ্রহ নেই। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের খুঁজে পাচ্ছে না।

মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, গোলাম কিবরিয়া, ইকবাল হোসেন, সালাউদ্দিন, মিসকাতুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, তৈয়বুর রহমান, হাজি হান্নান, শাহ আলম ও কবির হোসেন, সিবিএ নেতা আলমগীর সৈকত, সিএসডি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দুদু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি আলমগীর, স্টক ইনচার্জ সুখরঞ্জন হালদার, গেইট শাখার ইনচার্জ ইউনুছ আলী মণ্ডল, চেকপোস্টের ইনচার্জ সুমন, ডিও শাখার ইনচার্জ কাজী মাহমুদুল হাসান, প্রধান নিরাপত্তারক্ষী মো. হারেস, দারোয়ান বাবুল, ডিলার নজরুল ইসলাম ও জাকির হোসেন।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম   বলেন, সরকারি গুদামের খাদশস্য পাচারের ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্তে এ ঘটনায় অন্য যারা জড়িত তাদের নাম বেরিয়ে আসবে।