দাদীর অভিযোগ : সাড়ে ৪ মাস পর কবর থেকে শিশুর লাশ উত্তোলন

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি:

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় শিশু সুরভী আক্তার সুমাইয়ার (৭) মৃত্যুর প্রায় সাড়ে চার মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিহত শিশুর দাদীর অভিযোগে পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু সালেহ মো. হাসনাতের উপস্থিতিতে পুলিশ লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করেন। পুলিশ লাশটি ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

আদালতে দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, সুরভি আক্তারের লাশ গত বছরের ৪ অক্টোবর ভোরে নিজ বাড়ির একটি কক্ষে পাওয়া যায়। ওই দিন শিশু সুরভির বাবা কারাগারে ছিলেন এবং মা মোসলেমিনা আক্তার চট্টগ্রামে একটি গার্মেন্টেস ফ্যাক্টরিতে চাকরিতে ছিলেন। শিশুটির মৃত্যুর পর পারিবারের সদস্যরা জানান শিশুটি বাথরুমের ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এমন তথ্য ছড়ানোর কারণে শিশুটির স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে লাশটি দাফন করা হয়।

মৃত্যুটিকে রহস্যজরক মনে হওয়ায় একমাস পর গত ১১নভেম্বর নিহতের দাদী হালিমা খাতুন তিনি বাদী হয়ে নিহতের বড় চাচী বিলকিস খাতুন, তাঁর বড়বোন আমেনা খাতুন ও বোন জামাই জাহিদুল ইসলামকে আসামী করে বগুড়া আদালাতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুপচাঁচিয়া থানায় তদন্ত সাপেক্ষে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেন। পুলিশ তদন্ত শেষে গত ৩০ জানুয়ারি দুপচাঁচিয়া থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের পর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়। এরপর আদালত নিহত শিশু সুরভীর লাশ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দেন।

দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আলী বলেন, আদালতের নির্দেশে লাশটি উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তে হত্যার আলামত শনাক্ত হলে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এএইচ/এস