দণ্ড স্থগিত চেয়ে ব্যারিস্টার রফিকুলের আপিল

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া।

সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আপিল করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীফ রউফ চৌধুরী।

তিনি জানান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার তিন বছর সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা হয়েছে। আপিলে সাজা স্থগিত চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তার জামিন প্রার্থনা করা হয়েছে।

আজ দুপুর ২টায় বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের একক বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২০ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা থানায় দায়ের করা সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার মামলায় রফিকুল ইসলাম মিয়াকে তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার ছয়  নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. শেখ গোলাম মাহবুব। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। ১৯৫৭ সালের দুর্নীতি দমন আইনের ৪(২) ধারায় এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় জামিনে থাকা এ আসামি অনুপস্থিত থাকায় আদালত তার জামিন বাতিল করে সাজা পরোয়ানা জারি করেন। ওইদিনই সন্ধ্যায় গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে নিজ বাসায় ফেরার পথে রফিকুল ইসলাম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অসুস্থতার কারণে বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল রোববার তাকে হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার বিবরণে দেখা যায়, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে ২০০১ সালের ৭ এপ্রিল সম্পদের হিসাব দাখিল করতে নোটিশ জারি করে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো। কিন্তু তিনি হিসাব দাখিল না করায় ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি দুদক কর্মকর্তা সৈয়দ লিয়াকত হোসেন উত্তরা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। একই বছরের ৩০ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর রফিকুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। পরে বিভিন্ন সময়ে ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।