দখল মুক্তের বছর পার হলেও নির্মাণ হয়নি পুঠিয়ায় যাত্রীছাউনি, ভোগান্তী

মইদুল ইসলাম মধু, পুঠিয়া:

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা সদরে অবস্থিত বাসস্ট্যান্ডে নেই যাত্রী ছাউনি। উত্তর বঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলা ও আরো প্রায় তিনটি উপজেলার মানুষ যাত্রীবাহী বাসে করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে যেতে আসেন পুঠিয়া বাসস্ট্যান্ডে। তবে যাত্রীছাউনি না থাকায় সকল যাত্রীকেই পড়তে হয় ভোগান্তিতে। অথচ নির্ধারিত স্থান থাকার পড়েও আজ অবদি নির্মাণ হয়নি যাত্রী ছাউনি।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত স্থানটি আশরাফ মন্ডল নামের একজন ব্যক্তি দখল করে সেখানে দোকান ঘর তৈরি করে। ২০১৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নুরুজ্জামান ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সেটি দখলমুক্ত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পুঠিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আসাদুল হক সহ অনেকেই।

উচ্ছেদ অভিযান শেষ হলে সাবেক পৌর মেয়র পৌরসভার অর্থায়নে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি অধুনিক যাত্রীছাউনি তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন। প্রতিশ্রুতির এক বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি যাত্রীছাউনির কাজ।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার ওপরে এলোমেলোভাবে যাত্রীদের লাগেজসহ বিভিন্ন মালপত্র রাখা আছে এতে তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট ফলে সাধারন জনগনকে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। পুঠিয়া থেকে ঢাকা যাবেন উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে সোহেল রানা বাসের জন্য দীর্ঘক্ষন দাড়িয়ে আছেন রাস্তার ওপরেই সঙ্গে থাকা লাগেজ ও বস্তা রাস্তার ওপরেই রাখা, এমন চিত্র প্রায় প্রতিটি যাত্রীর।

একাধীক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দূরদুরান্ত থেকে বাসস্ট্যান্ডে এসে দীর্ঘক্ষন দাড়িয়ে থাকতে হয় রোদ বৃষ্টি এলেও বসার মত যায়গা নেই। এখন শিতের সময় ঠান্ডাবাতাসের মধ্যে অসুস্থ রুগীদেরও বসে একটু বিশ্রাম নেয়ার মত জায়গা নেই। যাত্রীছাউনি না থাকায় পুঠিয়া উপজেলা সহ র্পাশ্ববর্তী বাগমারা, চারঘাট ও বাঘা উপজেলা থেকে আগত যাত্রীরা ভোগান্তীর স্বীকার হচ্ছেন।

এদিকে নির্ধারিত স্থানটি দখলমুক্ত হলেও যাত্রীছাউনি তৈরি না হওয়ায় সেটিও দখল করে বসে আছে ফুটপাত ব্যবসায়ীরা। এব্যপারে কথা বললে পুঠিয়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র রবিউল ইসলাম রবি আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের শুরুর দিকে ওখানে একটি আধুনিক যাত্রীছাউনির কাজ শুরু করার কথা বলেন।

স/আর