শনিবার , ২৯ জুন ২০২৪ | ১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম নাকি ভারতের দ্বিতীয়

Paris
জুন ২৯, ২০২৪ ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ

 

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক

আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। যোগ্য দুদলই ফাইনালে উঠে এসেছে নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দিয়ে।

দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে ২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরে শিরোপা জিতেছিল ভারত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীপাকিস্তানকে হারিয়ে। এরপর এই সংক্ষিপ্ত পরিসরের ক্রিকেটের ফাইনালে আর ওঠা হয়নি মেন ইন ব্লুদের।  এবার তাদের সামনে আবারও সুযোগ দ্বিতীয়বারের শিরোপা জেতার।

অন্যদিকে ক্রিকেটের বড় মঞ্চে চোকার্স হিসেবে খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে। ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি কোনোটিরই ফাইনালে আজও ওঠা হয়নি প্রোটিয়াদের। তাদের সামনে প্রথমবারের মতো ইতিহাস গড়ার সুযোগের হাতছানি। এমতাবস্থায় আজ বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই দল।

ভারত এবারের বিশ্বকাপ টপ ফেবারিট হিসেবে শুরু করে। গ্রুপপর্ব আর সুপার এইটে অপরাজিত থেকেই সেমিফাইনালে উঠে রোহিত শর্মার দল। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করে ২০১৪ সালের পর বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে তারা। গ্রুপপর্বে অধিনায়ক রোহিতের ব্যাট না হাসলেও সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন তিনি। খেলেন ৯২ রানের এক ইনিংস। সেমিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আবারও সেই চিরচেনারূপে রোহিত। খেললেন অর্ধশতক রানের ইনিংস। আজকের ফাইনালেও তার ব্যাটের দিকে তাকিয়ে থাকবে ভারত।

তবে ভারতের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রানমেশিন বিরাট কোহলির ব্যাটিংয়ে রান না পাওয়া। এই বিশ্বকাপে নিজের ছায়া হয়ে রয়েছেন তিনি। বিশেষ করে তার নিজের ব্যাটিং পজিশন মিডল অর্ডার থেকে ওপেন করতে নেমে সুবিধা করতে পারছেন না তিনি। কথা উঠছে যশ্বশী জসওয়ালকে না খেলানো নিয়েও। তবে রান পাচ্ছেন রিশাভ পান্ত ও সূর্যকুমার যাদব।

ভারতের বোলিং লাইনআপে রয়েছে যথেষ্ট গভীরতা। পেস অ্যাটাকে এই বিশ্বকাপে দারুণ বল করছেন যশপ্রিত বুমরাহ। তার সঙ্গে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন আশরদীপ সিংও। স্পিনে কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল আর রবীন্দ্র জাদেজারা তো রয়েছেনই। তবে অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া নিজের নামের প্রতি মোটেও সুবিচার করতে পারেননি।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনাল নিয়ে রোহিত বলেন, ‘দল হিসেবে আমাদের খুব শান্ত থাকতে হবে। কারণ, মাথা ঠাণ্ডা থাকলে ও চাপ না নিলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। ফাইনালে জিততে হলে ভালো ক্রিকেট খেলা ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। আমরা এবার আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছি। ফাইনালে একই পরিকল্পনায় খেলতে চাই।’

প্রথমবারের মতো কোনো ফরম্যাটের ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের সামনে ইতিহাস গড়ার হাতছানি। দলটির সেরা সাফল্য বলতে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় যেটির নাম তখন ছিল নকআউট বিশ্বকাপ। ভারতের মতো প্রোটিয়ারাও অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠে এসেছে। অধিনায়ক এইডেন মার্করামরা তাই শিরোপা জিততে দারুণভাবে মুখিয়ে রয়েছেন। তবে দলটি যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকা সেহেতু বড় ম্যাচে চোক করার ভয়টা তাদের রয়েছে।

প্রোটিয়াদের ব্যাটিং লাইনআপও যথেষ্ট শক্তিশালী। প্রথম দিকে ওপেনার কুইন্টন ডি কক রান না পেলেও ধীরে ধীরে নিজের ফর্ম ফিরে পেয়েছেন। যা দলটিকে ফাইনালে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। এ ছাড়া অধিনায়ক মার্করাম, হেনরিক ক্লাসেন আর ডেভিড মিলাররা তো রয়েছেন। প্রত্যেকেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ভয়ংকর ব্যাটার।

এবার বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দারুণ বল করেছেন রিস্ট স্পিনার তাবরিজ শামসি। বিশেষ করে তার ঘূর্ণি বলে প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটাররা হিমশিম খেয়েছেন। আরেক স্পিনার কেশব মহারাজও ভালো বল করেছেন। পেস অ্যাটাকে কাগিসো রাবাদা আর মার্কো জনসেনেরা দলকে প্রতিটি ম্যাচেই অবদান দিয়ে গিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় প্রোটিয়ারা কী তাদের চোকার্স অপবাদ ঘুচিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিততে পারে কিনা।

ফাইনাল নিয়ে দলের অধিনায়ক মার্করাম বলেন, ‘ফাইনালে খেলার সুযোগ পাওয়া বিশাল অর্জন। আমরা যখন বিশ্বকাপের জন্য আসি, শুধু ফাইনালে খেলতে আসিনি। আমরা অন্য সব দলের মতো ফাইনাল জিততে এসেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাদা বলের দুই ফরম্যাটে দীর্ঘদিন ধরেই একসঙ্গে খেলছে এই দলটি। ফাইনালে উঠতে পারাটা দারুণ। আমরা বিশ্বের যেকোনো দলের সঙ্গেই লড়াই করতে পারি ও শিরোপা জিততে পারি বলে বিশ্বাস করি। সেই সুযোগ এখন সামনে আসায় ভালো লাগছে।’

এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ২৬ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে ভারতের ১৪ ও দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ১১ ম্যাচে। ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট ৬ বার মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। এই মঞ্চেও জয়ের ক্ষেত্রে এগিয়ে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার ২ জয়ের বিপরীতে ভারতের জয় ৪টিতে। মুখোমুখি লড়াইয়ের ২০০৭, ২০১০, ২০১২ ও ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ভারত এবং ২০০৯ ও ২০২২ সালের আসরে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

 

 

সর্বশেষ - খেলা